জনগণের হাতে বিপুল নগদ, জানালো আরবিআই, নোট বাতিল পরবর্তী সময়ের দ্বিগুণেরও বেশি
আরবিআই জানিয়েছে, জনগণের হাতে থাকা নগদের পরিমাণ এখন নোটবন্দী পরবর্তী সময়ের থেকে দ্বিগুণ এবং তা রেকর্ড ১৮ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।
জনগণের হাতে থাকা নোটের পরিমাণ রেকর্ড ১৮.৫ তক্ষ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৬-র শেষে নোটবাতিলের পর এই পরিমাণ ৭.৮ লক্ষ কোটিতে নেমে গিয়েছিল। আরবিআই আরও জানিয়েছে, তারা এইমুহূর্তে বাজারে ১৯.৩ লক্ষ কোটি টাকার উপরে নোট ছেড়েছে। নোটবাতিলের পর যা ছিল মাত্র ৮.৯ লক্ষ কোটি টাকার। এই চালু নোট থেকে ব্যাঙ্কের হাতে থাকা নোটের পরিমাণ বাদ দিয়ে জনগণের কাছে থাকা নোটের পরিমাণটি জানা গিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ি বর্তমানে বাজারে চালু ও জনগণের হাতে থারা নোটের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে নোট বাতিলের আগে দেশে চালু থাকা নোটের মোট পরিমাণ ও জনতার হাতে থাকা নোটের মোট পরিমাণকেও। নোট বাতিলের আগে বাজারে চালু ও জনগণের হাতে থাকা নোটের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৭.৯ লক্ষ কোটি ও ১৭ লক্ষ কোটি।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ১০০০ ও ৫০০ চাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। তাতে বাজারে চালু থাকা মোট নগদের ৮৬ শতাংশই বাতিল হয়েছিল। সরকার দাবি করেছিল এতে করে প্রচুর জাল নোট, অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা ধরা পড়বে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় প্রায় ৯৯ শতাংশ নোটই রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। আরবিআই-এর সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী ২০১৭-র ৩০ জুনের মধ্যে ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকার বাতিল নোটের, ১৫.২৮ লক্ষ কোটি টাকার নোটই ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে দিয়েছেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বর্তমানে বাজারে রেকর্ড পরিমাণ নগদ ছাড়ার দাবি করেলও এক-দেড় মাস আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটিএম-এ ক্যাশের দেখা মিলছিল না বলে খবর আসছিল। নোট বাতিলের পরবর্তী সময়ের দুর্ভোগের স্মৃতি টাটকা থাকায় তা নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেওয়া এই তথ্যের সঙ্গে সেই পরিস্থিতি কোনভাবেই মিলছে না। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে কেউ কেউ হয়তো কোনও কারণে নগদ মজুত করছেন।