৪০ পয়সাও দাম কমল না পেট্রোল-ডিজেলের! সিদ্ধান্ত ফেরত নিল তেল সংস্থাগুলি
মাসের প্রথমদিনেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর আশা দেখেছিল আমজনতা! সোমবার রাতেই ৪০ পয়সা করে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো আজ মঙ্গলবার থেকে নয়া দাম কার্যকর ছিল। কিন্ত্য সকালেই বদলে গেল গোটা ছবিটা। সি
মাসের প্রথমদিনেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর আশা দেখেছিল আমজনতা! সোমবার রাতেই ৪০ পয়সা করে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো আজ মঙ্গলবার থেকে নয়া দাম কার্যকর ছিল। কিন্ত্য সকালেই বদলে গেল গোটা ছবিটা। সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিল ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পরেশন (IOCL)।
ফলে পেট্রোল-ডিজেলের কোনও দামেই হেরফের ঘটল না। ফলে যেমন দাম ছিল তেমনই থেকে গেল। ফলে চাপ বজায় থাকল মধ্যবিত্তের উপর।
দামে কোনও বদল ঘটেনি
গত ২১ মে মাসের পর থেকে দেশে পেট্রোল এবং ডিজেলের দামে কোনও বদল ঘটেনি। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এর উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর এরপর একাধিক রাজ্য সরকার শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম। যেখানে একাধিক রাজ্যে ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল দাম সেখানে এক ধাক্কায় ৯০ থেকে ৯৯ টাকার মধ্যে চলে আসে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম।
কাঁচা তেলের দামে বড় পতন-
ইউক্রেন যুদ্ধের বড় প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বেই। বাদ যায়নি জ্বালানিও। ইউক্রেনের উপর রাশিয়া আঘাত করতেই মার্চে ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে যায় ক্রুড ওয়েলের দাম। ১৩৯ ডলার প্রতি ব্যারল পৌঁছে যায়। ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে ক্রুড ওয়েলের দাম পৌঁছে যায়। সম্প্রতি ক্রুড ওয়েলের দামে বড় পতন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ব্যারল ৯৫ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি আরও দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরেই দাম কমতে পারে বলে জোর চর্চা চলছিল। সেই মতো সোমবার রাতে ৪০ পয়সা করে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্ত্য মঙ্গলবার সকালেই বদলে যায় সমস্ত ছবিটা। জ্বালানির দামে কোনও প্রভাবই পড়ল না।
সাহস দেখাতে পারলেন না তেল সংস্থাগুলি
বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে ৭ এপ্রিল শেষবারের মতো তেলের দামে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছিল। এমনকি ২২ মে সরকার পেট্রোলের উপর থেকে entral excise-এর অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর একাধিক রাজ্য শুল্ক ছেড়ে দেয়। এর ফলে ১০০ টাকার নীচে অনেকটাই নেমে যায় তেলের দাম। যদিও তেলের এভাবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। কারণ এক ধাক্কায় পরিবহণ খবর বেড়ে গিয়েছে। আর তা বাড়ায় অন্যান্য সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। সেখানে বড় পদক্ষেপ নিলেও কার্যত সাহস দেখাতে পারলেন না তেল সংস্থাগুলি।