সরকারের দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা! নরেন্দ্র মোদী উর্জিত প্যাটেলের বৈঠক নিয়ে জল্পনা
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে অভূতপূর্ব টানাপোড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে অভূতপূর্ব টানাপোড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাক্ষাৎ হয়েছিল শুক্রবার কোনও এক সময়ে। উর্জিত প্যাটেল গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। এমনটাই খবর সূত্রের। পরবর্তী সোমবার অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র। এই বৈঠকের আগে মোদী-প্যাটেলের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদী উর্জিত প্যাটেল বৈঠক
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৌঠকে প্রধানমন্ত্রী সরকারের দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যা করেন। জনগণের কাছে জবাবদিহির বিষয়টিও উর্জিত প্যাটেলের কাছে তুলে ধরা হল বলে সূত্রের খবর।
ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় টাকা
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছোট ও মাঝারি শিল্পের ঋণ পুনর্গঠনে ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একইসঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ওপর ঋণ নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তারও পর্যালোচনা করা হতে পারে।
সরকারের 'চাপ' নিয়ে জল্পনা
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ওপর ব্যাঙ্কগুলিতে ঋণে ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ানো হয় বলে খবর ছড়ায়। একরইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে থাকা টাকা বাজারে ছাড়তে চাপ তৈরিরও অভিযোগ ওঠে।
কংগ্রেসের অভিযোগ
কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের বছরে প্রবল আর্থিক ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে এক লক্ষ কোটি টাকা বাজারে ছাড় দেওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
চিদাম্বরমের অনুমান
১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকের দিনটিকে বিশেষ দিন বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যদি কেন্দ্রের প্রস্তাব না মানে, তাহলে আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হতে পারে। অনুমানের কথা জানিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যদি তা হয়, তাহলে গভর্নরের ইস্তফা দেওয়া ছাড়া কোনও পথ থাকবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সুদের হার নিয়ে 'মতপার্থক্য'
সূত্রের খবর অনুযায়ী সুদের হার নিয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে। আরবিআই মনে করছে সুদের হার ঠিক করাটা একমাত্র তাদেরই অধিকারের মধ্যে পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপে সরকার অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে বলেই খবর। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে আরবিআই যখন সুদের হার বাড়াচ্ছে, সেই সময় সরকার সুদের হার কম রাখতে চেয়েছিল বলেই সূত্রের খবর।