জিএসটি-র অধীনে এলেই পেট্রোলের দাম অর্ধেক হয়ে যাবে, কেন্দ্র কি নেবে এমন সিদ্ধান্ত
যদি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জিএসটির অধীন চলে আসে তাহলে পেট্রোলের খরচ অনেক কমে আসবে। এবং সবচেয়ে বড় কথা পেট্রোল বা ডিজেলের উপরে কর ১২ শতাংশের বেশি হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মনে করছেন পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটি-ক অধীন নিয়ে আসা উচিত। একমাত্র তাহলেই জ্বালানির দামে লাগাম পরানো সম্ভব হবে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি কি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দেবেন?
বর্তমানে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেড়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। মুম্বইয়ে তা ৮০ টাকা প্রতি লিটার ছুঁয়েছে। দিল্লিতে তা ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। তা জিএসটির অধীন চলে এলে দিল্লিতে ৭০ টাকার পেট্রোলের খরচ পড়বে ৩৮.১০ টাকা। ১২ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাবে এটিকে ফেলা হবে।
শেষবার ২০১৪ সালের অগাস্টে সত্তর টাকার পৌঁছেছিল পেট্রোলের দাম। সেইসময়ে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৯৮ ডলার প্রতি ব্যারেল। অথচ এখন ব্যারেল প্রতি তেলের দাম মাত্র ৫০ ডলার। তাও কেন পেট্রোলের দাম এত আকাশছোঁয়া তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী পরিশোধনের সময়ে জ্বালানির খরচ হয় লিটারপ্রতি ২৬.৬৫ টাকা, ডিলাররা পান ৩০.৭০ টাকা, অথচ পেট্রোলের খরচ পড়ে লিটার প্রতি ৭০.৩৯ টাকা। এছাড়া ডিলারের কমিশন ৩.২৪ টাকা ও রাজ্য সরকারের ভ্যাট ১৪.৯৬ টাকা মিলিয়ে ৭০.৩৯ টাকা লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ধার্য করা হয়।
দিল্লিতে ২৭ শতাংশ ভ্যাট নেওয়া হয়, মুম্বইয়ে তা ৪৭.৬৪ শতাংশ হিসাবে কাটা হয়। যার ফলে দুটি রাজ্যের মধ্যে লিটার প্রতি দামের ব্যবধান ৯ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছে। একইভাবে ডিজেলের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক ১৫৪ শতাংশ, ভ্যাট ৪৮ শতাংশ ও ডিলারের কমিশন ৭৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
যদি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জিএসটির অধীন চলে আসে তাহলে পেট্রোলের খরচ অনেক কমে আসবে। এবং সবচেয়ে বড় কথা পেট্রোল বা ডিজেলের উপরে কর ১২ শতাংশের বেশি হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির অধীন আনতে হলে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জিএসটি কাউন্সিলকেই।