রবিবাসরীয় সকালে স্বস্তির খবর, কত হল পেট্রোল-ডিজেলের দাম
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে তার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপরেই। কারণ পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমশ দাম বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। যদিও দীর্ঘ ১২ দিন পর অবশেষে স্বস্তি
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার দামবৃদ্ধি। রাজ্যে ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ক্রমশ বাড়ছে। গত ১২ দিন ধরে ক্রমশ জ্বালানির দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে তার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপরেই। কারণ পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমশ দাম বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েই গিয়েছে। যদিও দীর্ঘ ১২ দিন পর অবশেষে স্বস্তির খবর। তবে খুব একটা স্বস্তি দিতে পারবে না বলেই দাবি অর্থনীতিবিদদের।
গত কয়েকদিনে একই থাকল দাম
গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানির দামে। এবার মিলল কিছুটা স্বস্তি। দাম কমেনি, তবে নতুন করে আর দাম বাড়ল না রবিবার। দিল্লি ও মুম্বইতে দাম অপরিবর্তিত রইল। তবে, কলকাতায় রবিবার পেট্রোলের দাম ৯১ টাকা ৭৮ পয়সা, ডিজেলের দাম ৮৪ টাকা ৫৬ পয়সা।মুম্বইতে এদিন পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ও ডিজেলের দাম ৮৭ টাকা ৬ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৯০ টাকা ৫৮ পয়সা ও ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ৯৭ পয়সা।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পথে কেন্দ্র
ক্রমশ বাড়ছে জ্বালানির দাম। দেশের সমস্ত রাজ্যেই বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ইতিমধ্যে রাজস্থানে সেঞ্চুরি পাড় হয়েছে জ্বালানির দাম। এই প্রসঙ্গে শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এটি একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এখন জ্বালানির দাম কমানো ছাড়া আর কোনও উত্তরই কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারবে না। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির একসঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত, যাতে ক্রেতাদের জন্য তেলের দাম একটি ন্যায্য ও যুক্তিযুক্ত সীমার মধ্যে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।' তবে বিষয়টি যে তাঁর একার হাতে নেই, তাও জানিয়ে দেন নির্মলা সীতারমন।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল
বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম। এই অবস্থায় পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাস্তায় তৃণমূল। শনিবার কলকাতার বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ থেকেই পেট্রোপণ্যে দাম কমানো নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিকমহলের মতে, ভোটের আগে যখন রাজ্যে এসে লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ করছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা, তখন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পাল্টা রাস্তায় তৃণমূল। ভোটের আগে জ্বালানি ইস্যুতে পালটা কেন্দ্রকে চাপে রাখতেই এই কৌশল বলে দাবি রাজনৈতিকমহলের।