দেশের অর্থনীতির দুরবস্থার জের ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাই করছে পার্লে-জি
জনপ্রিয় বিস্কুটের কোম্পানি পার্লে-জিতে শুরু হয়ে গেল কর্মী সঙ্কোচন প্রক্রিয়া। ১০,০০০ কোটির টার্ন ওভারের এই কোম্পানিতে কাজ করেন ১ লাখ কর্মী।
জনপ্রিয় বিস্কুটের কোম্পানি পার্লে-জিতে শুরু হয়ে গেল কর্মী সঙ্কোচন প্রক্রিয়া। ১০,০০০ কোটির টার্ন ওভারের এই কোম্পানিতে কাজ করেন ১ লাখ কর্মী। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতোটাই খারাপ যে খরচ বাঁচােত ১০,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
পার্লে-জি একাই ১০ টি কারখানা চালায়। এছাড়াও ১২৫টি যৌথ উদ্যোগের কারখানা রয়েছে তাদের। পার্লে জি বিস্কু, মোন্যাকো, হাইড অ্যান্ড সিক বিস্কুট। এবং ম্যাঙ্গো বাইট টফিও তৈরি করে থাকে এই কোম্পানি। মূলত গ্রামীণ এলাকাই এই সংস্থার উৎপাদিত পণ্যের ক্রেতা। কিন্তু দেশের আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে সামান্য দামের বিস্কুট এবং টফিও কিনতে চাইছেন না গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা। পকেটে টান পড়বে ভয়ে সস্তা জিনিসের দিকে এগোচ্ছেন তাঁরা।
এক ধাক্কায় জিডিপি রেটও অনেকটাই কমে এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং অর্থমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাতে কতটা হাল ফিরবে সেটা এখনও অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন একাধিক ব্যবসায়ী।
পার্লে-জি-র ক্যাটিগোরি প্রধান ময়ঙ্ক শাহ জানিয়েছেন, সরকারের কাছে বিস্কুটের উপর জিএসটি কমানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিশেষ করে যে বিস্কুটের দাম ১০০ টাকা প্রতিকেজি অথবা তার কম। পাঁচ টাকা প্যাকেট দরে যে বিস্কুটগুলি বাজারে বিক্রি হয় সেগুলির উপর জিএসটি কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এখনও সেই দাবি মেনে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েেছ। ঘাটতি পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।