শুক্রবার একটু হলেও ঘুরে দাঁড়াল ভারতীয় টাকা, কীভাবে জেনে নিন
শুক্রবার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ালো ভারতীয় টাকা। বাজার শুরুর সময়ে মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য দাঁড়ালো ৬৮.৬১।
বৃহস্পতিবারের ঐতিহাসিক পতনের পর শুক্রবার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ালো ভারতীয় টাকা। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময়ের থেকে ১৮ পয়সা বেড়ে শুক্রবার বাজার শুরুর সময়ে মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য দাঁড়ালো ৬৮.৬১। ব্যাঙ্ক ও রপ্তানীকারীরা বাজারে নতুন করে আমেরিকান মুদ্রা ছাড়াতেই ভারতীয় মুদ্রা কিছুটা জায়গা ফিরে পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রার বিক্রেতাদের মতে, ব্যাঙ্ক ও রপ্তানিকারকরা নতুন ডলার বাজারে ছাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার নিরিখে ডলার কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতেই ভারতীয় মুদ্রার মূল্য কিছুটা হলেও ঊর্ধগামী হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশীয় বাজারের ইকুইটি সূচকগুলি উচ্চ থাকাও টাকার পক্ষে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইতিহাসে প্রথমবার ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়তে পড়তে ৬৯ মার্ক পেরিয়ে যায়। পরে অবস্থা কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও বাজার বন্ধের সময় ভারতীয় মুদ্রার মূল্য সর্বকালীন কম, ৬৮.৭৯ মার্কে ছিল।
মুদ্রাস্ফীতি, ফিস্কাল স্লিপেজ-সহ বিভিন্ন কারণে ডলারের নিরিখে টাকার দাম ১৮ পয়সা পড়ে যায়। এইচডিএফসি সিকিওরিটির রিটেইল রিসার্চের প্রধান দীপক জাসানির মতে, 'অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির নন পারফর্মিং অ্যাসেটস-এর পরিমাণ নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সতর্কতা এসবের আতঙ্কের প্রতিক্রিয়াতেই ভারতীয় টাকার এই দ্রুত পতন ঘটে।'
শুক্রবার বাজার খোলার সময়ে ভারতীয় স্টক মার্কেটগুলির সূচক যথেষ্ট উচ্চ ছিল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্স খোলে ৯১ পয়েন্ট উপরে, ৩৫১২৮.১৬-তে। এনএসই-র নিফটি সূটকও ছিল প্রায় ২৩ পয়েন্ট উপরে, ১০৬১২.৮৫-এ। এই উচ্চ সূচক টাকার মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। বাজার খোলার সময়ে সবচেয়ে বেশি লাভে ছিল আদানি পোর্টস, আইটিসি ও উইপ্রো। ডোমেস্টিক ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর্স বা ডিআইআই-গুলি মোট ৪৪২.৫৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টর্স বা এফপিআই-গুলি শেয়ার বিক্রি করেছে ৯৫১.৫১ কোটি টাকার।