মাত্র ৪৯৯ টাকাতেই হয়ে যান আস্ত একটা স্কুটারের মালিক! Ola electric scooter-এর এই তথ্যগুলি জানলে আশ্চর্য হবেনই
খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে Ola electric scooter। অনেকেই বলছেন, Ola electric scooter দেশের ইলেকট্রিক ভ্যাইকেলের যুগে বড়সড় একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। রঙ এবং Ola electric scooter-এর একাধিক ফিচার রীতি
খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে Ola electric scooter। অনেকেই বলছেন, Ola electric scooter দেশের ইলেকট্রিক ভ্যাইকেলের যুগে বড়সড় একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে। রঙ এবং Ola electric scooter-এর একাধিক ফিচার রীতিমত নজর কেড়েছে। সংস্থার তরফে ইতিমধ্যে আগাম বুকিংয়ের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে।
মাত্র ৪৯৯ টাকা অর্থাৎ মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এই বাইকের বুকিং করা যাবে। ইতিমধ্যে এক লক্ষ্যেরও বেশি মানুষ এই স্কুটার আগাম বুকিং করেছেন। এমন কি আছে এই স্কুটারের মধ্যে যা নজর কেড়েছে এতগুলি মানুষের কাছে? এক নজরে বিস্তারিত তথ্য।
বুকিংয়ের সময় কত টাকা দিতে হবে?
Ola electric scooter- নিয়ে রীতিমত বাইকপ্রেমীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। Ola Electric- এই ওয়েবসাইটে গিয়ে স্কুটারের জন্যে আগাম বুকিং করা যাচ্ছে। এর জন্যে মাত্র ৪৯৯ টাকা দিতে হচ্ছে। যদি আপনার এই স্কূটার পছন্দ না হয় তাহলে আবেদনের সঙ্গে সঙে ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে আগাম বুকিংয়ের টাকা।
বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে স্কুটার!
Ola electric scooter-এর জন্যে গ্রাহককে কোথাও যেতে হবে না। এমনকি কোনও Ola Outlet-এও যেতে হবে না গ্রাহককে। সংস্থা প্রত্যেক বাড়িতে এই বাইক পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
কতগুলি রঙে পাওয়া যাবে এই স্কুটার!
সাধারণ মানুষের স্টাইল এবং পছন্দ বুঝেছে সংস্থা। আর তাই একাধিক রঙয়ে এই স্কুটার পাওয়া যাবে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ইলেকট্রিক স্কুটার ভারতের বাজারে ১০টি নতুন রঙ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। লাল, নিন, পিংক, গ্রে সহ একাধিক নতুন রঙে পাওয়া যাবে এই বাইক। এমনকি ম্যাট রঙ কিংবা গ্লাস দুটি ক্ষেত্রেই এই রঙ পাওয়া যাবে।
কত কিমি ছুটতে পারবে এই স্কুটার!
একাধিক খবরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, Ola electric scooter যে কোনও ইলেকট্রিক স্কুটারের থেকে বেশি আরামদায়ক। এবং ছুটবেও বেশী। সংস্থা সূত্রে খবর, এই স্কুটারে removable ব্যাটারির ব্যবহার করা হচ্ছে। লিথিয়াম এবং ion ব্যাটারি ব্যবহার করা হচ্ছে। একবার চার্জ দিলেই ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারে এই স্কুটার।
এই স্কুটারে এক নজরে থাকা ফিচারগুলি
Ola electric scooter-বৈদ্যুতন স্কুটার হলেও এতে সমস্ত কিছু আধুনিক ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো ডিজিটাল কনসোল ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লাউড কানেকটিভিটি দেওয়া রয়েছে এই স্কুটারে। alloy wheels থাকবে চাকাতে। এছাড়াই স্কুটারে আরোহীর সাচ্ছন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে থাকবে telescopic সিস্টেম। এছাড়াও বসার আসনের নীচে স্টোরজের ব্যবস্থাও করছে সংস্থা।
কোথায় তৈরি হচ্ছে এই স্কুটার!
ইতিমধ্যে ১ লক্ষ মানুষ এই স্কুটার বুকিং করেছে। আর তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই বাইক তৈরির কাজ চলছে এই মুহূর্তে। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর Ola Electric প্লান্টে এই স্কুটার তৈরির কাজ চলছে। এই প্রোডাকশন প্ল্যান্টে প্রত্যেক বছর ১ কোটি ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রত্যেকমাসে এই প্লান্টে ২০ লক্ষ করে এই স্কুটার তৈরি করা যেতে পারে। এই কারখানাতে এমন কিছু অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবহার করা হচ্ছে যে তাতে প্রত্যেক ২ সেকেন্ডে একটা ইলেকট্রিক স্কুটার রোল আউট করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এই কারখানাতে প্রত্যেকদিন ২৫ হাজার ব্যাটারি তৈরি করা যেতে পারে।