রেকর্ড দামে পৌঁছল তেল, মূল্যবদ্ধির আশঙ্কাকে জিইয়ে রেখে আরও পড়ল টাকার দাম
দেশের চার মেট্রো শহরে আরও বাড়ল তেলের দাম। ওয়েল মার্কেটিং কোম্পানিস বা ওএমসি-স এই দাম বৃদ্ধি করেছে। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে বৃদ্ধিকেই দায়ী করা হয়েছে।
দেশের চার মেট্রো শহরে আরও বাড়ল তেলের দাম। ওয়েল মার্কেটিং কোম্পানিস বা ওএমসি-স এই দাম বৃদ্ধি করেছে। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে বৃদ্ধিকেই দায়ী করা হয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবহণের খরচ। ২৯ মে তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিলো। এবারের দাম বৃদ্ধি সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
কলকাতা শহরে শুক্রবার সকাল থেকে পেট্রলের দাম ৮১.৫৮টাকা এবং ডিজেলের দাম ৭৪.১৮ টাকা। দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৭৮.৫২টাকা এবং ডিজেলর দাম ৭০.২১টাকা। মুম্বই-এ শুক্রবার সকাল থেকে পেট্রলের দাম হয়েছে ৮৫.৯৩টাকা। ডিজেলের দাম এখানে ৭৪.৫৪টাকা। চেন্নাই-এ পেট্রলের দাম পৌঁছেছে ৮১.৫৮টাকায়। ডিজেলের দাম ৭৪.১৮টাকা।
নতুন যে দাম লাগু হয়েছে তাতে অন্য মেট্রো শহরগুলোর তুলনায় তেলের দাম কম রয়েছে দিল্লিতে। এখানে তেলের বিক্রয় শুল্ক বা ভ্যাট অনেকটাই কম হওয়াতে তেলের দাম বাকি সব মেট্রো শহরগুলির তুলনায় কম। সবচেয়ে বেশি ভ্যাট প্রযোজ্য হয় মুম্বইতে। সেই কারণে সেখানে তেলের দাম অন্য মেট্রো শহরগুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি। দিল্লিতে যেখানে তেলের দামের ১৭.২৪ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, সেখানে মুম্বই-এ তেলের দামে ভ্যাট লাগু হয় অন্তত ৩৯.১২ শতাংশ। সর্বভারতীয় শুল্ক ইনসিডেন্সের তালিকায় দেখা যাচ্ছে পেট্রলে ৪০-৫০ শতাংশ ও ডিজেলে ৩৫-৪০ শতাংশ শুল্ক বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আরও গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হয়েছে মার্কিন ডলারের প্রেক্ষিতে টাকার দাম পড়ে যাওয়া। শুক্রবার ফের টাকার দাম ২৬ পয়সা পড়েছে। ফলে এখন ১ ডলার পেতে ৭১টাকা দিতে হচ্ছে। অপরিশোধিত তেলের দামে বৃদ্ধির জন্য এমনটা বলে জানা গিয়েছে। তবে, তেলের দামে এমন বদ্ধি ও টাকার পতনে মূল্যবৃদ্ধিতে যে আরও আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে তা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।