Income Tax: আয়কর নিয়ে বিভ্রান্তি নয়! কর ছাড় পেতে সরকারি নানা উপায়
Income Tax: আয়কর নিয়ে বিভ্রান্তি নয়! কর ছাড় পেতে সরকারি নানা উপায়
সামনেই ২০২২-২৩ আর্থিক বছর শেষ হওয়ার সময় চলে আসছে। এই সময়ে বহু মানুষ কর বাঁচাতে নানা উপায় খুঁজে থাকেন। আবার অনেকে সারা বছর ধরে পরিকল্পনা করে কর বাঁচানোর উপায় খোঁজেন। কর বাঁচানোর অনেক উপায় সরকার দিয়েছে। আয়কর আইনের বিভিন্ন ধারায় করদাতারা কর বাঁচাতে পারেন। সরকারের অনেক প্রকল্পে বিনিয়ো গে কর ছাড় পাওয়ার উপায় রয়েছে।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)
পিপিএফ-এর মাধ্যমে করছাড় পাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্ক ছাড়াও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এটি সরকারি প্রকল্প। ফলে এই প্রকল্পে বিনিযোগ কার্যত নিশ্চিন্ত। আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত পিপিএফ-এ কর ছাড় পাওয়া যায়। সরকার পিপিএফ-এ বিনিয়োগে গ্যারান্টি দেয়। এই মুহূর্তে সুদের হার ৭.১ শতাংশ।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (এসএসওয়াই)
কর ছাড় পেতে কেউ সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় বিনিয়োগ করতে পারেন। মোদী জমানায় এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে পরিবারের কন্যা সন্তানদের দিকে লক্ষ্য রেখে। এই মুহূর্তে এই প্রকল্পে সুদের হার ৭.৬ শতাংশ। এই প্রকল্পে আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় প্রথম দুই কন্যা সন্তানের জন্য বিনিয়োগে কর ছাড় পাওয়া যেত। পরবর্তী সময়ে সরকার নিয়মের কিছুটা পরিবর্তন করে এক কন্যা সন্তানের পরে যমজ কন্যার জন্য অ্যাকাউন্টে কর ছাড়ের সুযোগ দিয়েছে।
ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস)
ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে বিনিয়োগে আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। এছাড়াও ৮০সিসিডি ধারায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা যায়। অর্থাৎ এনপিএস-এ বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (এসসিএসএস)
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি প্রকল্প। এজন্য পোস্ট অফিসে কিংবা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এই অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ওপরে আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। এখানে বছরে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এই প্রকল্পে সুদের হার এই মুহূর্তে ৭.৪ শতাংশ।
আরও যেসব ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুযোগ
ওপরের সরকারি প্রকল্পগুলি ছাড়াও আয়কর দাতারা ঘর ভাড়া, সন্তানদের শিক্ষা ঋণে সুদ, বাড়ির জন্য ঋণের ওপরে কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের ওপরে ৮০ ডি ধারায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই ছাড়ের পরিমাণই আরও বেশি। আয়কর আইনের ২৪ বি ধারার অধীনে কোনও করদাতা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদের ওপরে কর ছাড় পেতে পারেন।