মনমোহন সিং-য়ের আমলে দেশের অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল, মন্তব্য এন নারায়ণমূর্তির
নারায়ণ মূর্তি বলেন, মনমোহনের সময় ভারতের অর্থনীতি একবার স্তব্ধ হয়ে পড়ে,
মনমোহন সিং মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন। কিন্তু ইউপিএ সরকারের সময় ভারতের অর্থনীতি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আইটি জায়ান্ট ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণ মূর্তি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে এমনটাই মন্তব্য করেছেন।
একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এন আর নারায়ণ মূর্তি বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আমি লন্ডনের এইচএসবিসি-র বোর্ডে ছিলাম। প্রথম কয়েকবছর বোর্ডের বৈঠকে চিনের নাম দুবার উল্লেখ করা হলে ভারতের নাম একবার উল্লেখ করা হয়। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদের লেখকদের সঙ্গে স্টার্টআপ কম্পাস নামের একটি বইয়ের অধিবেশনে নারায়ণ মূর্তি বক্তব্য রাখেন। এই অধিবেশনে তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে চলতি সরকারের তুলনা করে বলেন, ইউপিএ সরকারের সময় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করত। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার অনেকটাই সক্রিয়।
তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে মনমোহন সিং যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় অর্থনৈতিক সংস্কার করেছিলেন। বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'স্টার্টআপ ইন্ডিয়া'-এর মতো প্রকল্পগুলি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।তিনি বলেন, মনমোহন সিং অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব যেকোনও মানুষকে মুগ্ধ করে। কিন্তু আমরা জানি, তারপর কী হয়েছিল? তারপর দেশের অর্থনীতি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার ফলে দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খায়। এইচবিসি তখন যদি চিনের নাম ৩০ বার উল্লেখ করে, সেক্ষেত্রে ভারতের নাম একবারও উল্লেখ করে কি না সন্দেহ। তবে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে দেশের অর্থনীতি সংস্কারের জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কৃতিত্ব কোনও অংশে কম নয়।
প্রধানমন্ত্রীর 'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'স্টার্টআপ ইন্ডিয়া' সহ একাধিক প্রকল্পের প্রশংসা করেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন মানুষ অবজ্ঞার চোখে দেখত। এখন দেশের প্রতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের সম্মান বেড়েছে। দেশ বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, '১৯৭৮ সাল থেকে ২০২২ সময়কালে, অর্থাৎ ৪৪ বছরে, চিন ভারতকে ছয়বার পিছনে ফেলেছে। আমি বিশ্বাস করি চিন যদি এই উন্নতি করতে পারে, সেক্ষেত্রে ভারতও এই উন্নতি করতে পারবে। বিশ্বে চিন সেরকম সম্মান পায়, চেষ্টা করলে ভারতও সেরকম সম্মান পাবে।