জিও বিপ্লবে এবার কাঁপবে গ্রাম-বাংলা! আর কি বললেন মুকেশ আম্বানি
জিও-র ক্যারিশমা দেখেছে বিশ্ব। এবার গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে জিও পৌঁছে দেবে সহজ লভ্য হাইস্পিড ইন্টারনেট প্রযুক্তি। এমনকী, এর জন্য গ্রাম-বাংলার বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
জিও-র ক্যারিশমা দেখেছে বিশ্ব। এবার গ্রাম-বাংলার ঘরে ঘরে জিও পৌঁছে দেবে সহজ লভ্য হাইস্পিড ইন্টারনেট প্রযুক্তি। এমনকী, এর জন্য গ্রাম-বাংলার বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বৃহস্পতিবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই কথাই বললেন রিলায়েন্স-এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি।
বাণিজ্য সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুকেশ আম্বানি বলেন, বাংলার ডিজিটাল স্পেসের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী হল জিও। তাঁর মতে, জিও এমন এক আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামোকে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে যে একে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বলা যেতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা অত্যন্ত কম দামে জিও যে ভাবে সাধ্যের মধ্যে নানা ধরনের পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে তা চমকে দেওয়ার মতো।
আম্বানি জানান, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে রিলায়েন্সের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪,৫০০ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে জিও এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির মিলিত বিনিয়োগ বাংলার বুকে ২৮ হাজার কোটি টাকার। এই বিনিয়োগ দেশজুড়ে রিলায়েন্স গোষ্ঠী করা বিনিয়োগের একের দশ শতাংশ। এরপর আবার নতুন করে ১০০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
এই প্রসঙ্গেই মুকেশ আম্বানি জানান পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারি প্রতিটি মানুষ ১০০ শতাংশ ২০১৯ সালের মধ্যেই জিও নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবেন। বাংলায় জিও মার্কেট বিস্তারে লক্ষ যে এখন গ্রামীণ এলাকা, তা ভাষণে উল্লেখ করেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার। ইতিমধ্যেই জিও এই রাজ্যে ১ লক্ষ সক্রিয় ব্য়বসায়িক বন্ধু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান মুকেশ আম্বানি।
এবার গ্রাম-বাংলার জন্য একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুকেশ আম্বানি। সেখানে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় 'জিও পয়েন্ট' নামে এক একটি ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল খোলা হবে। এর ফলে বৃদ্ধিশীল গ্রামীণ বাজার এবং গ্রামে বসবাসকারী মানুষরা উপকৃত হবেন। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে এমন ৩৫০টি জিও পয়েন্ট কাজ করছে। এই বছরের শেষে এটাকে ১ হাজার পয়েন্ট নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থীর করা হয়েছে বলে জানান মুকেশ আম্বানি।