চলতি বছরের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১.১ শতাংশ কমানো হয়েছে, নেপথ্যে যে কারণ রয়েছে
চলতি বছরের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১.১ শতাংশ কমানো হয়েছে, নেপথ্যে যে কারণ রয়েছে
২০২২ সালের জন্য ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস ১.১ শতাংশ কমানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিসের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রমাগত সুদের হার বৃদ্ধি, বর্ষায় অসম বৃষ্টিপাত, বিশ্বের অর্থনীতির ধীর বৃদ্ধির জেরে আগামী ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যার জেরেই ভারতের চলতি বছরের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১.১ শতাংশ পয়েন্ট কমানো হয়েছে। আগের পূর্বাভাসে আশা করা হয়েছিল, ২০২২ সালের জিডিপি ৮.৮ শতাংশে হবে। সেই সম্ভাবনাকে কমিয়ে ৭.৭ শতাংশ করা হয়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির জেরে চাপে আরবিআই
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মে থেকে তার রেপো রেট ১৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এমপিসি বৈঠকের সময় আরবিআই একসঙ্গে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। গ্লোবাল ম্যাক্রা আউটলুক ২০২২২-২৩ -এ মুডিস তরফে বলা হয়েছে, দেশে অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বাড়তে পারে। যার জেরে ২০২৩ সালে আরবিআইয়ের কঠোর নীতি বজায় থাকবে বলে জানা গিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির ভারসাম্য বজায় রাখা আরবিআইয়ের কাছে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ডলারের নিরিখে টাকার মূল্যের পতন পরিস্থিতি আরও জটিল করে দিচ্ছে।
কিছুটা কমেছে মুদ্রাস্ফীতি
দেশে মুদ্রাস্ফীতি আগের থেকে কিছুটা কমেছে। এই প্রসঙ্গে মুডিসের তরফে জানানো হয়েছে, যদিও জুলাইয়ে মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমিয়ে ৬.৭ শতাংশে আনা হয়ছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, তাতে ব্যর্থ হয়েছে। টানা সপ্তম মাসে দেশের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার থেকে ২ শতাংশ বেশি রয়েছে। এখনও দেশের মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের বেশি। আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি বেশি থাকবে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৮ শতাংশ থাকবে। এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্র নিয়েছে আরবিআই।
বিনিয়োগ নিম্নগামী
মুডির তরফে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর জেরে বিনিয়োগের ওপর প্রভাব পড়েছে। যার জেরে ভারতের অর্থিক থেকে বৃদ্ধির হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ডিলিভারেজিং সম্পূর্ণ হওয়ার পরে কর্পোরেট সেক্টরে বিনিয়োগের হার একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে তার জন্যেও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। বিনিয়োগে সরকারি নীতি ও অর্থনীতির দ্রুত ডিজিটাইজেশন ব্যবসা সম্প্রসারণে সাহায্য করবে।
কঠোর আর্থিক নীতি
মুডির তরফে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর নির্বর করে। বিশ্বের একাধিক দেশের মুদ্রাস্ফীতির অনেকটা প্রভাব ভারতে পড়েছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মুদ্রাস্ফীতির জন্য আন্তর্জাতিক একাধিক রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক একাধিক সিদ্ধান্তের জেরে আর্থিক নীতি অনেকটা কঠিন হয়েছে।
জানেন LPG সিলিন্ডারে ৫০ লক্ষ টাকা বীমা পাওয়া যায়! কখন-কীভাবে ক্লেম করবেন?