বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার জের, ২০২২ সালে ভারতের জিডিপির অনুমান ৭ শতাংশে নামাল মুডিস
বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কটের জেরে ভারতের মুডিস ভারতের ২০২২ সালের জিডিপি বৃদ্ধি কমিয়ে ৭ শতাংশে এনেছে,
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার কালো মেঘ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুডিসের তরফে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির অনুমান ৭.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। মুডিসের তরফে জানানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সুদের হার ও বিশ্বব্যাপী মন্দা ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করবে।
ভারতে কমবে জিডিপির বৃদ্ধি
দ্বিতীয়বার মুডি'স ইনভেস্টর সার্ভিস ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অনুমান কমাল। চলতি বছরের মে মাসে ২০২২ সালে ভারতের জিডিপির পরিমাণ ৮.৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৭ শতাংশে নিয়ে এসেছিল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে ২০২২ সালে জিডিপি বৃদ্ধির পরিমাণ ৭.৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, বিশ্ব জুডে আর্থিক মন্দা পরিস্থিতি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দা
ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি, কঠোর আর্থিক নীতি, রাজস্ব চ্যালেঞ্জ, ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন ও আর্থিক বাজারের অনিশ্চয়তা বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের একাধিক দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া ঘোষণার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পাকিস্তান, মায়ানমারে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ভারতেও মুদ্রাস্ফীতির ক্রমাগত বৃদ্ধি হচ্ছে। পশ্চিমের একাধিক দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। দেখা গিয়েছে আর্থিক সঙ্কট। আমেরিকা, কানাডা সহ পশ্চিমের একাধিক দেশে মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি আর্থিক সঙ্কট দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
২০২৩ সালে তীব্র হবে আর্থিক সঙ্কট
মুডিসের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে আর্থিক মন্দা দেখা দেবে। ২০২৩ সালে সেই আর্থিক মন্দা তীব্র আকার ধারণ করবে। মুডিসের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো কঠোর আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০২৪ সাল থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে যাবে।
আর্থিক সঙ্কটের জেরে কর্মী ছাঁটাই
বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কটের প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে কর্মী ছাঁটাই করতে শুরু করেছে। তারমধ্যে রয়েছে টুইটার, মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট সহ একাধিক কোম্পানি। বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পরেই কর্মী সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমিয়েছে। মেটা বুধবার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, তারা ১৩ শতাংশ কর্মী কমাচ্ছে। মেটায় ১১,০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অ্যামাজন ও মাইক্রোসফটে কর্মী বরখাস্ত করা হয়েছে। অ্যামাজনের রোবটিক বিভাগের সকলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নয়া সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ড সরকারের, এসসি, এসটি ও অন্যান্যদের চাকরির ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাস