ভোজ্য তেলের আমদানিতে বাতিল কাস্টমস ডিউটি, কমল সেস! দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের সময় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন
দেশে ভোজ্য তেলের (edible oil) দাম নিয়ন্ত্রণে প্রথমে মজুতদারদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। এবার কাস্টমস ডিউটি (customs duty) বাতিল করার কথা জানানো হল। পাম, সানফ্লাওয়ার এবং সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এই কর আপাতত
দেশে ভোজ্য তেলের (edible oil) দাম নিয়ন্ত্রণে প্রথমে মজুতদারদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। এবার কাস্টমস ডিউটি (customs duty) বাতিল করার কথা জানানো হল। পাম, সানফ্লাওয়ার এবং সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এই কর আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও রিফাইন্ড তেলের ক্ষেত্রে ডিউটি কাট করা হয়েছে। এৎ ফলে উৎসবের মরশুমে উপভোক্তারা উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে মোদী সরকার।
লিটার পিছু দাম কমবে প্রায় ১৫ টাকা
দেশের ভোজ্য তেল প্রস্তুত কারক এবং বাজারজাত করার সংস্থাগুলিদের সংগঠন এসইএ জানিয়েছে, রান্নার তেলের খুচরো মূল্য যা এখন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে, তা সরকারি পদক্ষেপে লিটার পিছু ১৫ টাকার মতো কমে আসতে পারে। রিফাইন্ড পাম অয়েলের ক্ষেত্রে লিটার পিছু দাম ৮-৯ টাকা এবং সূর্যমুখী এবং সয়াবিনের ক্ষেত্রে দাম লিটার পিছু ১২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দুটি আলাদা বিজ্ঞপ্তি জারি
আমদানি
শুল্ক
এবং
সেস-এ
ছাড়
দেওয়া
হয়েছে।
এব্যাপারে
সেন্ট্রাল
বোর্ড
অফ
ইনডায়রেক্ট
ট্যাক্সেস
অ্যান্ড
কাস্টমস-এর
তরফ
থেকে
দুটি
আলাদা
বিজ্ঞপ্তি
জারি
করা
হয়েছে।
সরকারি
নির্দেশিকা
কার্যকরী
হয়েছে
১৪
অক্টোবর
থেকে।
তা
বলবত
থাকবে
৩১
মার্চ
২০২২
পর্যন্ত।
এখন
অপরিশোধিক
পাম
তেলে
কাস্টমস
ডিউটি
হবে
৮.২৫
শতাংশ
আর
অপরিশোধিত
সয়াবিন
এবং
সূর্যমুখীর
ক্ষেত্রে
তা
হবে
৫.৫
শতাংশ।
আগে
তিন
ধরনের
ভোজ্য
তেলেই
কর
ছিল
২৪.৭৫
শতাংশ।
কমেছে সেসও
অপরিশোধিত
পাম
তেল,
সয়াবিন
তেল
এবং
সানফ্লাওয়ার
তেলের
ক্ষেত্রে
এগ্রি
ইনফ্রাস্ট্রাকচার
ডেভেলপমেন্ট
সেসও
কমানো
হয়েছে।
এবার
থেকে
অপরিশোধিত
পাম
তেলে
সেস
থাকবে
৭.৫
শতাংশ
আর
অপরিশোধিত
সয়াবিন
তেল
এবং
অপরিশোধিত
সূর্যমুখী
তেলের
ক্ষেত্রে
এই
সেস
থাকবে
৫
শতাংশ।
আগে
এই
সেস
ছিল
২০
শতাংশ।
এছাড়াও
পরিষোধিত
সূর্যমুখী,
সয়াবিন
এবং
পামোলিনের
ক্ষেত্রে
কাস্টমস
ডিউটি
৩২.৫
শতাংশ
থেকে
কমিয়ে
করা
হয়েছে
১৭.৫
শতাংশ।
প্রভাব পড়বে কৃষকদের ওপরে
যদিও দেশের মানুষের সুবিধা হলেও, সরকারের এই সিদ্ধান্তের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই সময়ে কর কমানোর দেশের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেননা সয়াবিন এবং বাদামের চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে একদিকে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমবে, অন্যদিকে দেশের চাষীরা সঠিক দাম পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত এক বছরে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৪৬.১৫ শতাংশের মতো। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ভোজ্য তেল আমদানি করতে হয়।