সামনে রয়েছেন জেটলি, তবে বাজেট তৈরির নেপথ্য কারিগরদের চেনেন কি
দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে চলায় আড়ালে কোন মানুষগুলি কাজ করেন, তাদের চিনে নেওয়া যাক একনজরে।
এই নিয়ে পরপর পাঁচ বছর বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনিই প্রধান মুখ। সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে পিছনে আরও একদল মানুষ রয়েছেন যাদের ছাড়া বাজেট পেশ করা জেটলির পক্ষে অসম্ভব। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে চলায় আড়ালে কোন মানুষগুলি কাজ করেন, তাদের চিনে নেওয়া যাক একনজরে।
পোন রাধাকৃষ্ণণ
অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পোন রাধাকৃষ্ণণ তামিলনাড়ু থেকে জিতে আসা বিজেপির একমাত্র সাংসদ। তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলেও সাংসদ ছিলেন। ৬৬ বছরের রাধাকৃষ্ণণ কন্যাকুমারী থেকে জিতে এসেছেন।
[আরও পড়ুন:নজরে ২০১৯ লোকসভা ভোট, বাজেট ২০১৮-য় তার কোন প্রভাব পড়বে]
রাজীব কুমার
অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ফিকির মহাসচিবও ছিলেন। ২০০৬-০৮ পর্যন্ত এনএসএ-র সদস্য ছিলেন রাজীব। এছাড়া সিআইআই-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ হিসাবেও তিনি কাজ করেছেন।
হসমুখ আদিয়া
নোট বাতিলের মুখ্য কারিগর ছিলেন হসমুখ আদিয়া। তাঁর ছোট্ট দল নিয়ে তিনি ৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিলের চিত্রনাট্য তৈরি করেন। বাজেটেও অন্যতম বড় ভূমিকা রয়েছে তাঁর। এর আগে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য সচিব হিসাবে তিনি কাজ করেছেন।
সুভাষ চন্দ্র গর্গ
রাজস্থানের মানুষ গর্গ ভারত, ভূটান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ডিরেক্টর ছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কে। পরে অর্থ মন্ত্রকের সচিব হিসাবে কাজে যোগ দেন। বিভিন্ন সময়ে অর্থমন্ত্রকের নানা দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
রাজীব কুমার
ফিনান্সিয়াল সাভিসেস-এর সচিব রাজীব কুমার ভারতীয় আমলাতন্ত্রে অনেক সংষ্কার করেছেন। আমলাদের পারফরম্যান্সের বার্ষিক মূল্যায়ন সংক্রান্ত অনলাইন সিস্টেম তিনিই চালু করেছেন।
অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম
আইআইএম আহমেদাবাদ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ সুব্রহ্মণ্যম ভারতের মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন ২০১৪ সালে। কেন্দ্রের অর্থনৈতিক কাজকর্মে তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
নীরজ গুপ্তা
উত্তরপ্রদেশের আইএএস অফিসার নীরজ গুপ্তা কেন্দ্রের ডিসইনভেস্টমেন্ট সচিব। ২০১৭-১৮ সালে কেন্দ্র ডিসইনভেস্টমেন্টে ৭২, ৫০০ কোটি টাকার বাজেট ধার্য করে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন নীরজ।
এএন ঝা
কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রকের এক্সপেন্ডিচার সেক্রেটারি এএনঝা ১৯৮২ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। বহুদিন ধরে তিনি অর্থমন্ত্রকের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাজেট তৈরিতেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে।