'বিড়াল বলে মাছ খাব না আঁশ ছোঁবো না', বিশ্ববন্দিত ব্র্যান্ডের সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত ফ্যানরা
নতুন বছরে অনেকেই অনেক রেজোলিউশান নেন। তারমধ্যে অধিকাংশ ধূমপায়ীই সংকল্প নেন নতুন বছরে আর ধূমপান করবেন না।
নতুন বছরে অনেকেই অনেক রেজোলিউশান নেন। তারমধ্যে অধিকাংশ ধূমপায়ীই সংকল্প নেন নতুন বছরে আর ধূমপান করবেন না। কিন্তু সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের পাতা ওল্টানোর আগেই হারিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন:বাজেট ২০১৮-র কোন প্রভাব পড়বে স্টক মার্কেটে! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
কিন্তু যদি সিগারেট উৎপাদক কোম্পানিই কোনও রেজেলিউশান নেয় যে তারা আর সিগারেট জাত ব্যবসায় পয়সা ঢালবে না। হ্যাঁ যেমন ভাবছেন তেমনিই। এ যেন অনেকটা 'বেড়াল বলে মাছ খাব না আঁশ ছোব না কাশি যাব।' এভাবেই নাকি তামাক ব্যবসা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছে বিখ্যাত ধূমপানের কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপ মরিস। যদি কোম্পানির নাম দিয়ে বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে বলা ভালো মার্লবোরো ব্র্যান্ডের উৎপাদকরা।
ধোঁওয়া হীণ পৃথিবীতে নিজেদের ছাপ রাখতে চাইছে এই সংস্থা। তবে শুধু মার্লবোরোই নয় এঁরা যদি তামাক ব্য়বসা থেকে নাম সরিয়ে নেন তাহলে হারিয়ে যাবে বেনসন অ্যান্ড হেজেস‚ রেড অ্যান্ড হোয়াইট এবং লংবিচ | বিশ্বকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁরা।
ফলে এই ব্র্যান্ডগুলির ধূমপান করে যাঁরা মৌতাত জমান , তারা কিন্তু সাবধান। অভ্যাস ধীরে ধীরে বদলান, নতুবা আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের ধোঁওয়ামুক্ত নীতি মেনে নিজেরাও সরে আসুন ধূমপান থেকে।
আসলে ২০১৪-১৫ -র পর থেকে আসলে ধূমপানের বাজারে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে ব্যাটারি চালিত বা ই সিগারেট। সেই মার্কেটের সঙ্গে পাল্লা দিতেই নিজেদের চিরন্তন ব্যবসায় পরিবর্তন করতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যেই ফিলিপ মরিস খাদ্য ও ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে রেখেছে।
এই মুহূর্তে পৃথিবী জুড়ে তাদের ৬৭ লক্ষ ধূমপায়ী তাঁদের ব্র্যান্ডের ধূমপান করেন। তবুও ধীরে ধীরে অন্য পৃথিবীতে চলে যেতে চলেছে।
যদি সত্যিই মার্লবোরো ব্র্যান্ড পুরো সরে যায় তাহলে কার্যত ধূমপানের জগতে এক যুগের অবসান হবে।