জানেন গোটা বিশ্বে রান্নার গ্যাস সবথেকে দামি ভারতে? পেট্রোলেও 'প্রথম সারি'তে ভারত
মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় নাজেহাল অবস্থা ভারতীয়দের। একদিকে পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ছে হু হু করে। অন্যদিকে সাধারণকে চিন্তায় ফেলে লাফিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য বলছে, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই গ্য
মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় নাজেহাল অবস্থা ভারতীয়দের। একদিকে পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ছে হু হু করে। অন্যদিকে সাধারণকে চিন্তায় ফেলে লাফিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য বলছে, বিশ্বের মধ্যে ভারতেই গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ আরও একাধিক কারণে এভাবে বাড়ছে জ্বালানির দাম। বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ পেট্রোলের দাম ভারতে। আর ডিজেলের ক্ষেত্রে সেই তালিকায় ভারতের স্থান অষ্টম। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে সব দেশেই প্রভাব পড়ার কথা। অথচ ভারতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষ বেশি সরব।
এমনটা কেন? কেন মূল্যবৃদ্ধির আঁচ সবথেকে বেশি লাগছে ভারতীয়দের গায়ে?
কোন দেশে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কেমন হবে, তা নির্ভর করে নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর। আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে লেনদেন করা হয় তাকেই বলে নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেট। আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার ক্ষেত্রে এই নমিনাল এক্সচেঞ্জ রেট এক এক রকম। আর তার ওপর নির্ভর করে কোন দেশে কেমন হবে মূল্যবৃদ্ধি।
সেই সঙ্গে আরও একটা বিষয় হল আয় বা রোজগার। তার ওপরেই নির্ভর করে কেমন হবে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে সাধারণ মানুষের গড় আয় যত, তার তুলনায় সামান্য খরচ হয় এক লিটার পেট্রোল কিনতে। আবার, ভারতীয়দের গড় আয়ের এক চতুর্থাংশ হল এক লিটার পেট্রোলের দাম।
অন্যদিকে, বুরুন্দিতে গড় আয়ের থেকেও বেশি টাকা লাগে এক লিটার পেট্রোল কিনতে। অর্থাৎ একেকটি দেশে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব একেক রকম, তা বোঝাই যাচ্ছে। তথ্য বলছে, রান্নার গ্যাস বা এলপিজির দাম বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি ভারতে, ৩.৫ ডলার। এরপর রয়েছে তুরষ্ক, ফিজি, মলডোভা ও ইউক্রেন।
অন্যদিকে যে সব দেশে রান্নার গ্য়াসের দাম মাত্র ১ ডলার, সেই তালিকায় রয়েছে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, ইউকে। ডিজেলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ভারত রয়েছে অষ্টম স্থানে, যেখানে দাম ৪.৬ লিটার। আলবানিয়া, তুরষ্ক, মায়ানমার, জর্জিয়া, ভুটান ও লাওসের পরই ভারতের স্থান।
তবে কোন দেশে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ কতটা পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর, তা নির্ভর করে রোজগারের ওপর। যে দেশে মানুষের আয় যত বেশি, সেখানে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ তত কম।