দেশজোড়া মন্দার মাঝেও আরও বাড়ছে জিও-র ব্যবসা, ৬৪৪১ কোটি লগ্নি টিপিজি ও এল ক্যাটারটনের
করোনা সঙ্কটেও জিও-র অগ্রগতি অব্যাহত। এবার আন্তর্জাতিক লগ্নি কারী সংস্থা টিপিজি এবং এল ক্যাটারটন জিওতে বিনিয়োগ করল। শনিবার দুই সংস্থা প্রায় ৬৪৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ৪৫৪৭ কোটির বিনিময়ে টিপিজি জিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ০.৯৩% শেয়ার কেনে বলে জানা যাচ্ছে। একইসাথে বেসরকারি ইক্যুইটি ফার্ম এল ক্যাটারটনও ১৮৯৪ কোটি টাকায় ০.৩৯% শেয়ার কেনে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ(আরআইএল)-এর পক্ষ একথা জানানো হয়েছে।
রিলায়েন্সের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মোট বিনিয়োগ ১লক্ষ কোটি
বর্তমানে জিওর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আরআইএল ইতিমধ্যে জিও প্ল্যাটফর্মের ২২% শেয়ার বিক্রি করেছে। সাম্প্রতিক লেনদেনের নিরিখে জিওর বর্তমান ইক্যুইটি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪,৯১,০০০ কোটি টাকা এবং এন্টারপ্রাইজ মূল্য হয়েছে ৫,১৬,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। গত দু'মাসের মধ্যে ফেসবুক, সিলভার লেক, ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার্স, জেনারেল আটলান্টিক, কেকেআর, মুবাদালা, আদিয়া এবং সাম্প্রতিক টিপিজি ও এল ক্যাটারটনের বিনিয়োগে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে জিওর ব্যবসা।
ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ
আরআইএলের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, "আশা রাখছি, অদূর ভবিষ্যতে টিপিজি ও এল ক্যাটারটনের সহযোগিতায় আমরা ভারতবাসীর জীবনে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারব।" অন্যদিকে টিপিজির সিইও জিম কুল্টার জানিয়েছেন, বর্তমানে জিও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে ভারতীয় বাজারে সম্ভাবনা অনেক এবং এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও প্রযুক্তি সংস্থা আকৃষ্ট হবে।
পণ্যের গুণগত মান ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর
এল ক্যাটারটনের গ্লোবাল কো-সিইও মাইকেল চ্যু জানিয়েছেন, "আমাদের সংস্থা মনে করে যে সামগ্রিক উন্নতির জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অগ্রগতি দরকার। তাই বর্তমানে উচিত একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কৌশল তৈরি করা। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে জিও আমাদের পূর্ণ-সহযোগিতা করবে।" ভারতীয় প্রযুক্তি-বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই বিদেশি সংস্থার যোগদানে জিওর উন্নতি অবশ্যম্ভাবী, যা ভারতীয় অর্থনীতিকেও আগামীতে রসদ জোগাতে পারে।
গত দুমাসে দশবারেও বেশি বিনিয়োগ
এই নিয়ে গত দুমাসে গত দুমাসে ১০ বারেরও বেশি বিনিয়োগ এল জিওতে। মার্চের শেষ পর্যন্ত আরআইএলের ঋণ ছিল প্রায় ১,৬০,০০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিও প্ল্যাটফর্মে এই বিশাল বিনিয়োগের দরুণ আর্থিক লভ্যাংশ ও ভারত পেট্রোলিয়ামের ৪৯% শেয়ার থেকে আরআইএল এই বৃহদাকার ঋণ মেটাতে সক্ষম হবে। আরআইএল ইতিমধ্যে ঋণ মেটানোর উদ্দেশ্যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত ঋণ মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন আরআইএলের এক আধিকারিক।