এই বৈশিষ্ট্যগুলি না থাকায় ধাক্কা খেতে পারে জিওফোনের ব্যবসা
ডুয়াল সিম ও হোয়াটসঅ্যাপ না থাকায় ভাটা পড়তে পারে জিও ফোনের জনপ্রিয়তায়। শুধুমাত্র জিও সিমের সঙ্গেই ফোনটি লক রাখা অন্যতম বাধা হতে পারে জিওফোনর কাছে।
গত শুক্রবারই কার্যত বিনামৃল্যে জিওফোনের ঘোষণা করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন জিও কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আপাতত ২৪ শে অগাস্ট ফোনটি বুক করতে মুখিয়ে রয়েছে আমজনতা। কিন্তু এই ফোনটি এমন কিছু বৈশিষ্ট্য হয়ত পাওয়া যাবে না যা আজকের দিনে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
প্রথমেই বলতে হয়, জিও ফোন ডুয়াল সিম ফোন নয়। অর্থাৎ একটির বেশি সিম এই ফোনে ব্যবহার করা যাবে না। তাও আবার শুধুমাত্র জিও সিম। কারণ এই ফোনটিতে শুধুমাত্র জিও সিমই ব্যবহার করা যাবে। ফলে অনেকেই ভেবে থাকতে পারেন যে এই ফোনটি কিনে তাতে জিও-র পাশাপাশি নিজস্ব সিমও রাখবেন, তাহলে সে গুড়ে বালি। ফোনটি শুধুমাত্র জিও সিমের জন্যই লক থাকায় অন্যকোনও সিম এই ফোনে ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্য অক্টোবর মাসেই ডুয়াল সিম জিওফোন বাজার আসার একটা খবর পাওয়া গিয়েছে। তাতে প্রথম সিমটি জিও-র জন্য় থাকবে এবং দ্বিতীয় স্লটে অন্য যে কোনও সিম ব্যবহার করা যাবে। তবে রিলায়েন্সের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি।
দ্বিতীয় সমস্যা আরও বড়। এই ফোনে সম্ভবত মিলবে না হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক অ্যাপ। ফেসবুক তাও হয়ত ব্রাউজার দিয়ে খোলা যাবে কিন্তু আপাতত হোয়াটসঅ্য়াপ পাওয়া যাচ্ছে না জিও ফোনে। এই ফোনে জিও-র নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপ থাকছে, ফলে হোয়াটসঅ্যাপের কোনও স্থান আপাততভাবে নেই। এমনিতেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন ও উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্ম ছাড়া কাজ করে না। আগে সিম্বিয়ান বা এস -৬০ অপারেটিং সিস্টেমে যাও বা করত, সেই সুবিধে এখন তুলে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। জিওফোন নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। ফলে তাতে যে হোয়াটসঅ্যাপ পাওয়া যাবে না তা ধরেই নেওয়া যায়। অবশ্য পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই মেসেজিং সিস্টেম জিও ফোনে আসতেই পারে।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া ফোন কল্পনাই করা যায় না। ফলে এই অ্যাপটি না থাকায় জিওফোনের জনপ্রিয়তা পেতে সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।