Post Office Scheme! ঝুঁকিহীন অ্যাকাউন্ট খুলুন আর পান প্রতিমাসে গ্যারান্টি যুক্ত ৪৯৫০ টাকা
Post Office Scheme! ঝুঁকিহীন অ্যাকাউন্ট খুলুন আর পান প্রতিমাসে গ্যারান্টি যুক্ত ৪৯৫০ টাকা
বিনিয়োগের বাজারে অস্থির পরিস্থিতি। সেই কারণে নিশ্চিত বিনিয়োগ করার আগে ভাবতে হয় সবাইকেই। যদি কেউ ঝুঁকি ছাড়াই লাভ এবং সঞ্চয় একসঙ্গে পেতে চান, তাহলে পোস্ট অফিসের স্কিমে নজর দিতে পারেন। শেয়ার বাজারে যেমন লাভ বেশি, ঠিক তেমনই ঝুঁকিও বেশি। সেই পরিস্থিতিতে অর্থ নিরাপদে থাকবে এবং নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যাবে, তেমন বিনিয়োগের উপায় বেছে নেওয়া উচিত।
পোস্ট অফিসের স্কিমে ভাল রিটার্ন
পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিম (MIS) বিনিয়োগের দিক থেকে লাভজনক। এখানে শুধুমাত্র একবার টারা জমা করতে হবে। টাকা জমা থাকবে ৫ বছরের জন্য। অর্থাৎ ৫ বছরের জন্য মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছে সরকার।
যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ
পোস্ট অফিসের MIS-এ একক কিংবা যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। ন্যূনতম ১ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। সেখানে এককভাবে সর্বাধিত ৪.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। আর যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যেতে পারে।
MIS-এর সুবিধা
MIS-এ
একজন-দুজন
কিংবা
তিনজনে
অ্যাকাউন্ট
খোলা
যায়।
তিনজনের
নামে
অ্যাকাউন্ট
খুললে
প্রাপ্ত
আয়
প্রত্যেককে
সমানভাবে
দেওয়া
হয়।
যে
কোনও
সময়
একটি
যৌথ
অ্যাকাউন্টকে
একটি
একক
অ্যাকাউন্টে
পরিণত
করতে
পারেন।
আবার
একটি
একক
অ্যাকাউন্টকে
জয়েন্ট
অ্যাকাউন্টে
পরিণত
করা
যায়।
তবে
অ্যাকাউন্টে
কোনও
পরিবর্তনের
ক্ষেতে,
যাঁদের
নাম
রয়েছে,
তাঁদের
সবাইকে
যৌথ
আবেদন
করতে
হবে।
প্রথম
৫
বছরের
মেয়াদ
সম্পূর্ণ
হয়ে
গেলে
ফের
৫
বছরের
জন্য
মেয়াদ
বাড়ানো
যাবে।
এমআইএস
অ্যাকাউন্টে
নমিনেশনের
সুবিধা
রয়েছে।
এই
স্কিমে
বিনিয়োগে
সরকার
সবরকমের
নিরাপত্তা
দিচ্ছে।
বর্তমান সুদের হার
বর্তমানে এই প্রকল্পে সুদের হার ৬.৬%। প্রতিমাসেই তা দেওয়া হয়। যে কোনও ভারতীয় নাগরিক পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন।
হঠাৎ টাকার প্রয়োজন পড়লে
MIS-এর মেয়াদ ৫ বছর। কিন্তু কারও টাকার দরকার পড়লে সময়ের আগেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা যাবে। টাকা জমার একবছর পরে সেই টাকা তোলা যাবে। টাকা যদি এক বছর থেকে তিন বছরের মধ্যে তোলা হয়, তাহলে জমা টাকার ২ শতাংশ কেটে ফেরত দেওয়া হয়। আর অ্যাকাউন্ট খোলার ৩ বছর পরে কিন্তু মেয়ারপূর্তির আগে টাকা তুলতে গেলে ১ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
কীভাবে MIS অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে
পোস্ট অফিসে MIS অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে সেখানে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এছাড়া পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট কিংবা ভোটার কার্ড কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। দুটো পাসপোর্ট সাইজের ফটো লাহবেষ এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে সরকারের জারি করা পরিচয় পত্র কিংবা বিদ্যুতের বিল লাগবে। অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করে কিংবা স্থানীয় পোস্ট অফিস থেকে ফর্ম তুলে তা পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের নমিনীর নাম দিতে হবে। এরপর চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। এরপর বিস্তারিত জানতে স্থানীয় পোস্ট অফিস কিংবা ইন্ডিয়া পোস্টের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন।
দিল্লি ও মুম্বইতে এদিনও বেশি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম! একনজরে মেট্রো শহরগুলিতে জ্বালানির মূল্য