মোদীর সাফল্যে সিলমোহর বিশ্বব্যাঙ্কের, চলতি আর্থিকবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ
নোট বাতিল থেকে জিএসটি চালু একের পর এক আর্থিক সংস্কারের যে দেশে সমৃদ্ধি এসেছে তা আগেই দাবি করেছিল মোদী সরকার।
নোট বাতিল থেকে জিএসটি চালু একের পর এক আর্থিক সংস্কারের যে দেশে সমৃদ্ধি এসেছে তা আগেই দাবি করেছিল মোদী সরকার। এবার তাতে সিলমোহর দিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ আর্থিকবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে ৭.২ শতাংশ। অথচ কয়েকদিন আগেই ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের (CSO) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি হয়েছে ৬.৮ শতাংশ। সিএসও-র দেওয়া রিপোর্ট থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে এই রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক।
সুখ্যাতি মোদী সরকারের
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর যে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ানের প্রচার কয়েকগুণ বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত ২ বছরে ভারতের যে আর্থিক সমৃদ্ধি হয়েছে তার গতি অত্যন্ত দ্রুত। অর্থাৎ বিশ্বের যেকোনও দেশের থেকে ভারতের আর্থিক বিকাশ অনেক বেশি হয়েছে। মুদ্রাস্ফিতিও অনেক কম হয়েছে।
বিনিয়োগ বেড়েছে
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে। জন পরিষেবামূল কাজে সরকারি বিনিয়োগ বেশি হয়েছে। যার জেরে একটি সুসঙ্ঘবদ্ধ আর্থ-সামাজিক বিকাশ ঘটেছে দেশে। এই ধারায় সরকার অর্থনীতি পরিচালনা করলে ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
চ্যালেঞ্জ সীতারমনের সামনে
মোদী সরকারের দ্বিতীয় পর্বে এখনও বাজেট পেশ না হলেও, নতুন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবং দেশের উন্নয়নে কতটা আর্থিক বিনিয়োগ মোদী সরকার করবে সেটাই এখন দেখার। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীদের কী প্রতিক্রিয়া হবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবারের লোকসভা ভোটে দেশের অর্থনীতির করুণ দশার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। রাফাল দুর্নীতি নিয়ে মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও ভোটে মোদী ঝড়ে রাফাল দুর্নীতি মামলা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।