ভারত আমেরিকার বানিজ্য যুদ্ধ! বিস্তারিত জানুন
ভারত বলছে যে, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের পন্যের ওপর আমদানি শুল্ক চাপানোর মার্কিন সিদ্ধান্ত এই পণ্যগুলির রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে এবং এটি বিশ্ব বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘনকারী।
এবার কি আমেরিকার সঙ্গে বানিজ্য যুদ্ধে জড়াবে ভারত? পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছে। আমেরিকা যে অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের পন্যের ওপর আমদানি কর বসিয়েছে, তা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্ল্যুটিও ) অভিযোগ করেছে ভারত। ভারতের দাবি, ওই সিদ্ধান্ত আমেরিকায় পন্যগুলির রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে এবং এটা গ্লোবাল ট্রেড নর্মস-এরও পরিপন্থী।
ভারতের বানিজ্য মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভারত আমেরিকার এই কয়েকটি অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের পন্যের ওপর আমদানি কর চাপানোর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে ডব্ল্যুটিও-তে। ডব্ল্যুটিও-র ডিসপিউট সেটলমেন্ট মেকানিজমের আওতায় ভারত, আমেরিকার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় যেতে চায়। এই আলোচনায় যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে ভারত ডব্লুটুও-র ডিসপিউ সেটলমেন্ট প্যানেলকে বিষয়টি পর্যালোচনার অনুরোধ জানাবে।
গত
৯
মার্চ
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড
ট্রাম্প
ইস্পাত
ও
অ্যালুমিনিয়াম
পন্যের
আমদানীর
ওপর
চড়া
সুদ
আরোপ
করেন।
ইস্পাত
পন্যের
কর
ধার্য
হয়
২৫
শতাংশ,
আর
অ্যালুমিনিয়াম
পন্যের
ক্ষেত্রে
১০
শতাংশ।
যার
প্রধান
নিশানা
চিন
হলেও
প্রভাব
পড়েছে
গোটা
বিশ্বের
বানিজ্য
মানচিত্রেই।
এর
বাইরে
নেই
ভারতও।
তবে
এই
কর
আরোপের
ক্ষেত্রে
ছাড়
পেয়েছিল
আমেরিকার
প্রতিবেশী
দুই
রাষ্ট্র,
কানাডা
ও
মেক্সিকো।
ভারতের
লক্ষ্য,
এই
তালিকায়
সামিল
হওয়া।
ইস্পাত
ও
অ্যালুমিনিয়াম
মিলিয়ে
ভারত
প্রতিবছর
১.৫
বিলিয়ন
ডলারের
পন্য
রপ্তানি
করে
আমেরিকায়।
আমেরিকা
যে
সুদ
আরোপ
করেছে,
তাতে
এই
রপ্তানি
মার
খাবে
বলে
আশঙ্কা
করছে
ভারত।
তবে অনেক বানিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকাকে এ বিষয় নিয়ে ডব্লুটিও-তে টেনে নিয়ে যাওয়াটা ভারতের পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। তাদের যুক্তি ভারতের থেকে আমেরিকা প্রয়োজনের অতিরিক্তই আমদানি করে থাকে। ২০১৬-১৭ সালে আমেরিকা ভারতের কাছ থেকে ৪২.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পন্য আমদানী করেছে। সেখানে আমেরিকা থেকে ভারতের আমদানি ছিল মাত্র ২২.৩ বিলিয়ন ডলারের। কাজেই এই বিষয়টি দেখিয়েই ডব্লুটিও-তে ভারতের দাবি খন্ডন করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্য়েই অবশ্য দুই দেশের মধ্যে পোলট্রি, সৌরশক্তি, ইস্পাত শিল্পের মতো বানিজ্য ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব রয়েছে।পাশাপাশি ভারত সরকারের রফতানিতে ইনসেনটিভ দেওয়ার বিরুদ্ধেও আমেরিকা ডব্লুটিও-তে অভিযোগ জানিয়েছে। কাজেই এই মুহুর্তে আমেরিকার সঙ্গে এরকম সংঘাতে ভারতের না জড়ানোই লাভজনক।