২০১৯-এ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত, দাবি জেটলির
সবকিছু ঠিক চললে আগামী বছর ২০১৯ সালে ব্রিটেনকে টপকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়ে যাবে ভারত।
এবছর ২০১৮ সালে ফ্রান্সকে টপকে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। আর সবকিছু ঠিক চললে আগামী বছর ২০১৯ সালে ব্রিটেনকে টপকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়ে যাবে ভারত। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তিনি বলেছেন, এবছর আয়তনের বিচারে ফ্রান্সকে টপকে গিয়েছে ভারত। সামনের বছর ব্রিটেনকেও টপকে যাবে। যার ফলে ভারত হবে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। জেটলির কথায়, বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলি যে গতিতে বাড়ছে, ভারতের বৃদ্ধির গতি তার অনেক বেশি। ফলে আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম তিন অর্থনীতির দেশের মধ্যে ভারতের আসার ক্ষমতা রয়েছে বলে জেটলি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির গতি দেখে ব্রিটেনও বিস্মিত। ফলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করে নিজেদের আর্থিক বৃদ্ধির পথ সুগম করতে থেরেসা মে-র সরকার উদ্যোগী হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক তাই নতুন মাত্রা পেয়েছে।
গত জুন মাসে বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী ফ্রান্সকে টপকে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তারপরে যথাক্রমে চিন, জাপান, জার্মানি ও ব্রিটেন। ভারতের জিডিপির মূল্য ২.৫৮৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ফ্রান্সের ছিল ২.৫৮২ ট্রিলিয়ন ডলার। যার ফলে ভারত এগিয়ে গিয়েছে। যদিও ফ্রান্সের মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে অনেক বেশি।
কেন্দ্রে পুরনো কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে অরুণ জেটলি বলেছেন, ১৯৭০, ১৯৮০-র দশকে কংগ্রেস দল জনমুখী প্রকল্প না করে জনমোহিনী কাজ করেছে। যার ফলে দেশের প্রকৃত উন্নতি হয়নি। তবে নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের হতদরিদ্রের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে ব্রতী হয়েছে। গ্রামীণ ভারত এগোলেই ভারতের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব বলেও জেটলি দাবি করেছেন।