আন্তর্জাতিক জিডিপি তালিকায় ভারতের পতন, দেশের আর্থিক উন্নতি বৃদ্ধির হার ফাঁস
মোদী সরকার বারবার দেশের আর্থিক বিকাশ নিয়ে যে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে চলেছেন তা ফাঁস করে দিল আন্তর্জাতিক জিডিপি তালিকা।
যা দেখানো হয় সেটাই যে বাস্তব এমন কোনও কথা নেই। মোদী সরকার বারবার দেশের আর্থিক বিকাশ নিয়ে যে একের পর এক মিথ্যে কথা বলে চলেছেন তা ফাঁস করে দিল আন্তর্জাতিক জিডিপি তালিকা। এক ধাক্কায় একেবারে সপ্তম স্থানে গিয়ে পড়েছে ভারত। অথচ মোদী সরকার দাবি করে চলেছেন দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেবেন। সেটা যে কতবড় ভাঁওতা সেটা প্রমাণ হয়ে গেল এই আন্তর্জাতিক জিডিপি চালিকায়।
তালিকার শীর্ষ রয়েছে আমেরিকা (জিডিপি গ্রোথ ২০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে চিন (জিডিপি গ্রোথ ১৩.৬ ট্রিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান (জিডিপি গ্রোথ ৪.৯ ট্রিলিয়ন ডলার) আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে জার্মানি (জিডিপি গ্রোথ ৩.৯ ট্রিলিয়ন ডলার), পঞ্চম স্থানে ব্রিটেন (জিডিপি গ্রোথ ২.৮২ ট্রিলিয়ন ডলার),ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স (জিডিপি গ্রোথ ২.৭৭ ট্রিলিয়ন ডলার)। তারপরে সপ্তম স্থানে ঠাঁই হয়েছে ভারতের। যার জিডিপি গ্রোথ ২.৭২ ট্রিলিয়ন ডলার)।
আন্তর্জাতিক স্তরে এই অবস্থান নিয়ে মোদী সরকার ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশবাসীকে। তাও আমার মাত্র ৫ বছরে। অর্থনীতিবিদদের ভাষায় যা একেবারেই অসম্ভব। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশকে কীভাবে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেবেন মোদী সেটা ক্রমশ প্রকাশ পেলেও আপাতত সেটা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রকাশিত এই তালিকা দেখার পর তো তা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
কারণ ২০১৭ যে অবস্থানে ছিল ভারত ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে তার থেকে অনেকটাই পড়ে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। এই তালিকাতেই ২০১৭ সালে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের থেকে এগিয়ে ছিল ভারত। ভারতের জিডিপি গ্রোথ ছিল ২.৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সেতুলনায় ব্রিটেনের জিডিপি গ্রোথ ছিল ২.৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ফ্রান্সের জিডিপি গ্রোথ ছিল ২.৫৯ ট্রিলিয়ন ডলার।