ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়াই বাড়বে কলকাতা মেট্রোর আয়! উপায় বাতলে দিল আইআইএম কলকাতা
লোকসানে চলা কলকাতার মেট্রোর জন্য সম্ভাব্য লাভের পথ বাতলে দিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট। আইআইএম কলকাতার বেশ কয়েকজন ছাত্র বিষয়টি নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে।
লোকসানে চলা কলকাতার মেট্রোর জন্য সম্ভাব্য লাভের পথ বাতলে দিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট। আইআইএম কলকাতার বেশ কয়েকজন ছাত্র বিষয়টি নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে। যার মাধ্যমে লোকসানে চলা কলকাতা মেট্রোর আয়ের নতুন উপায় হতে পারে। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে ভার্চুয়াল গ্রসারি স্টোরের মাধ্যমে মেট্রোর ফাঁকা জায়গায় কাজে লাগাতে হবে।
লোকসানে চলা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন আইআইএম কলকাতাকে তাদের আয়ের সম্ভাব্য পথগুলি খতিয়ে দেখতে বলেছিল। তিন এমবিএ ছাত্র অ্যালান শাজি ইডিকুলা, উর্জাসিত লাল এবং তুষার কুমার তাঁদের নতুন ধারণার কথা জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে মাটির নিচে মেট্রোর ফাঁকা দেওয়ালে বিলবোর্ড টানিয়ে সুপার মার্কেটের মতো ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতা মেট্রোর মুখপত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি লাগু করা চেষ্টা করছেন। এই উপায়ে ভাড়া বাদ দিয়েও, মেট্রোর আয় অনেকটা বাড়বে বলে অনুমান। এক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য যাত্রীদের ওপর কোনও চাপও দেওয়া হবে না। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকা জায়গা, যতটা বেশি সম্ভব ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত মেট্রোর আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ আসে ট্রেনের ভাড়া থেকে। ২০১৩ সালের পর থেকে যা বৃদ্ধি করা হয়নি। এখন এক টাকা আয় করার জন্য মেট্রোর ব্যয় হয় ২.৬৮ টাকা।
প্রস্তাব
অনুযায়ী
মেট্রোর
ফাঁকা
দেওয়ালে
থাকবে
ডিজিটাল
বিলবোর্ড।
যাতে
কিউআর
কোড
থাকবে।
যাত্রীরা
এই
কোচ
স্ক্যান
করে
প্রতিদিনের
প্রয়োজনীয়
জিনিস
কিনতে
পারবেন।
এই
কাজের
জন্য
ই-কমার্স
কোম্পানিগুলি
স্থানীয়
দোকানগুলির
সঙ্গে
যোগাযোগ
গড়ে
তুলবে।
যাতে
সময়ে
সেই
জিনিস
ওই
যাত্রীকে
সরবরাহ
করা
যায়।
আইআইএণ
কলকাতার
ছাত্র
অ্যালান
জানিয়েছেন,
এই
ধরনের
ভার্চুয়াল
স্টোর
জাপানের
স্টেশনগুলিতে
যথেষ্ট
জনপ্রিয়
হয়েছে।
আইআইএম কলকাতার কুড়িটি দল মেট্রোর স্টেশনগুলিতে সমীক্ষা চালিয়েছিল। যার মধ্যে অ্যালান ও তাঁর দলের সদস্যদের প্রস্তাব মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
আরও যেসব উপায়ে মেট্রোয় আয় বাড়ানো যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে,
১) মেট্রো স্টেশনগুলির অব্যবহৃত জায়গা লিজ দিয়ে দেওয়া। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০ টি স্টেশনে প্রায় ৬৮,৪৭৮ বর্গমিটার অব্যবহৃত জায়গা পড়ে রয়েছে। বাণিজ্যিক ভাবে সেই জায়গা ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) ট্রেনকে বিজ্ঞাপণে মুড়ে দিয়ে আয় বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়াও হোর্ডিং, ডিজিটাল কিয়স্কের মাধ্যমেও আয় বাড়ানো যেতে পারে।
৩) মেট্রো ট্রেনের মধ্যে মাশুল লাগুর মাধ্যমে ওয়াই ফাইও চালু করা যেতে পারে।
আইআইএম কলকাতার ছাত্ররা দেখিয়েছে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ অনায়াসেই ২০ কোটি টাকা আয় করতে পারে অব্যবহৃত জায়গা ভাড়া দিয়ে।