ঋণগ্রহিতার হঠাৎ মৃত্যু হলে কাকে মেটাতে হয় সেই লোন? অবশ্যই জানুন সেই তথ্য
পরিবারের খুশির জন্যে আমরা কিনা করে করে থাকে। গাড়ি কিনতে লোন কিংবা ছোট বড় সমস্ত ধরণের লোন নিয়ে পরিবারের খুশির ব্যবস্থা করে থাকে মধ্যবিত্ত। কিন্তু জীবনের কোনও ভরসা নেই। আগামী কয়েক ঘন্টায় জীবনে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। যেখ
Loan Repayment: পরিবারের খুশির জন্যে আমরা কিনা করে করে থাকে। গাড়ি কিনতে লোন কিংবা ছোট বড় সমস্ত ধরণের লোন নিয়ে পরিবারের খুশির ব্যবস্থা করে থাকে মধ্যবিত্ত। কিন্তু জীবনের কোনও ভরসা নেই। আগামী কয়েক ঘন্টায় জীবনে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। যেখানে করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত হয়নি বিশ্ব।
করোনার কারণে বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কখনো ভেবেছেন ঋণগ্রহীতা মারা গেলে সেই বিপুল ঋণ শোধ করার দায়িত্ব কার হবে? ছেলে কিংবা পরিবারকে কি মেটাতে হবে সেই লোন? এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হল এই প্রতিবেদনে-
ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণ কে পরিশোধ করবে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে সব ঋণ একই ধরনের নয়। ঋণ সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত ক্যাটাগরিতে রাখা হয়। সিকিয়র্ড লোন অর্থাৎ হোম লোন, অটো লোন এবং অসুরক্ষিত লোনের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়ে থাকে ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির জন্য ইএমআই। ঋণগ্রহীতা মারা গেলে পরিবারের ওপর চাপ দিয়ে ব্যাংক কি ঋণ আদায় করতে পারে? এবার এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।
হোম লোন-
যদি কেউ যৌথ গৃহ ঋণ নিয়ে থাকে এবং প্রাথমিক আবেদনকারী মারা যায়, তাহলে ঋণ পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অন্য সহ-আবেদনকারীর উপর থাকবে। যদিও দ্বিতীয় ব্যক্তিও ওই হোম লোন না মেটাতে পারে তাহলে ব্যাঙ্কের কাছে সিভিল কোর্ট, ঋণ পুনরুদ্ধার ট্রাইব্যুনাল বা SARFAES এর মাধ্যমে ঋণ শোধের বিষয়ের রাস্তা খোলা থাকবে। ব্যাংক সম্পত্তি দখল করে বিক্রি করে ঋণ আদায় করতে পারে। তবে, ব্যাঙ্কগুলি পরিবারের সদস্যদের কিছু দিন সময় দেয় যে মৃত ব্যক্তি যদি মেয়াদী পলিসি বা অন্য কোনও পলিসি নিয়ে থাকেন তবে তার কাছ থেকে অর্থের ব্যবস্থা করে তিনি ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। কিন্তু একটা সময়ের পত আইনের পথেই হাঁটবে ব্যাঙ্ক।
অটো লোন-
অটো লোন গ্রহণকারী কেউ মারা গেলে এই ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব পরিবারের উপর বর্তায়। ব্যাংক পরিবারের সদস্যদের এই ঋণ পরিশোধ করতে বলে। যদি পরিবার এই ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত না হয়, তবে ব্যাংক তার ঋণ আদায়ের জন্য গাড়িটি দখল করে নিলাম করার ক্ষমতা ব্যাঙ্কের আছে বলে জানা যাচ্ছে।
ব্যাক্তিগত লোন এবং ক্রেডিট কার্ড-
ব্যক্তিগত ঋণ, ক্রেডিট কার্ড বিল, এগুলি সবই অসুরক্ষিত ঋণের বিভাগে আসে। যদি কোনো ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করেই মারা যান, তাহলে ব্যাংক তার পরিবারের বেঁচে থাকা দম্পতিকে বা তার আইনি উত্তরাধিকারীকে ঋণ পরিশোধ করতে বলতে পারে না। যেহেতু এটি একটি অনিরাপদ ঋণ, তাই জামানত বলে কিছু নেই এবং তাই সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না বলেও জানাচ্ছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এক্ষেত্রে এই বিষয়গুলিকে ব্যাঙ্ক এনপিএ অ্যাকাউন্ট হিসাবে দেখে। ভবিষ্যতে ওই ব্যাঙ্ক তো বটে, অন্য কোনও ব্যাঙ্ক থেকেও টাকা ধার নিতে পারবে না।
মুম্বইয়ে বসে বাংলায় জঙ্গি কার্যকলাপ! ধৃত ডায়মন্ডহারবারের দুই বাসিন্দা