বাড়ছে অনিশ্চয়তা! টুইটার, ফেসবুক, অ্যালফাবেটের পর হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে আরও এক বহুজাতিক সংস্থা
আগামী তিন বছরের মধ্যে কর্মী বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিল এইচপি
একের পর এক আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। টুইটার, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট, মেটা, অ্যামাজনের পর এবার সেই পথে হাঁটছে এইচপি। এক বিবৃতি এইচপির প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে সংস্থা। জানানো হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ৪,০০০ থেকে ৬০০০ কর্মীকে বরখাস্ত করতে চলেছে এই প্রযুক্তি সংস্থা। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। বিশেষ করে যেখানে কর্মীরা সংস্থার উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে কঠিন পদক্ষেপ
আমেরিকা ভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা এইচপির যৌথ কার্যনির্বাহী আধিকারিক বলেছেন, ব্যয় কমানোর জন্য সংস্থার তরফে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে সংস্থার তরফে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সঞ্চয় করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক সঙ্কটের প্রভাব এইচপির ওপর পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ব্যবসায়ের বৃদ্ধির পরিকাঠামো অপরিবর্তিত রাখতে সংস্থাটি কর্মশক্তি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনরিক লরেন্স বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে আমরা আমাদের কর্মশক্তি হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী তিন বছরে ৪,০০০ থেকে ৬,০০০ কর্মী বরখাস্ত করা হবে। আমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ ছিল না। আমাদের কঠোর পরিশ্রমী কর্মীদের বিদায় জানানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে সংস্থাটিকে বাঁচাতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
করোনা মহামারীর প্রভাব
এইচপির কার্য নির্বাহী আধিকারিক এনরিক লরেন্স বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার তিন বছর হয়ে গিয়েছে। প্রথম থেকে আমার লক্ষ্য ছিল, সংস্থার আয় বৃদ্ধি করা। এই তিন বছরের আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আমরা সম্প্রতি নতুন গ্লোবাল অপারেটিং মডেল বাস্তবায়িত করেছি। যার ফলে আমরা আরও দ্রুত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের লাভের ভারসাম্য বজার রাখতে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি বলেন, বিশ্বের অর্থনীতিতে করোনা মহামারী একটা প্রভাব ফেলেছে। সেখান থেকে বাদ যায়নি আমাদের সংস্থাও।
বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কট
বিশ্ব জুড়ে মুদ্রাস্ফীতি, করোনা মহামারীর প্রভাব, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমেরিকা,ব্রিটেন সহ ইউরোপের একাধিক দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক সঙ্কটের জেরে ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। ইতিমধ্যে টুইটার তার অর্ধেকের ওপর কর্মী ছাঁটাই করেছে। পাশাপাশি অ্যামাজন, মেটা, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেটের মতো সংস্থা ব্যাপক পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই করেছে।