Atal Pension Yojana: প্রতিমাসে পরিবার পিছু ১০ হাজার টাকা পেনশন প্রাপ্তির সুযোগ, অটল পেনশন যোজনা একনজরে
Atal Pension Yojana: প্রতিমাসে পরিবার পিছু ১০ হাজার টাকা পেনশন, অটল পেনশন যোজনা একনজরে
সরকারি চাকুরে কিংবা উচ্চপদে আসীন বেসরকারি কর্মীদের বার্ধক্যের খরচ নিয়ে সেরকম কোনও চিন্তা না থাকলেও, বাকিদের অবশ্যই অবসরকে নিরাপদ রাখতে আগে থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। যদি কেউ অবসরকে নিরাপদ রাখতে চান এবং নিরাপদ বিনিয়োগ করতে তান, তাহলে তিনি অটল পেনশন যোজনায় (atal pension yojana) বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে স্বামী ও স্ত্রী আলাদা অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে পারেন।
কারা বিনিয়োগ করতে পারবেন
অটল পেনশন যোজনা ২০১৫ সালে চালু করা হয়েছিল। সেই সময় এটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যে কোনও ভারতীয় নাগরিক এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং পেনশন স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন। যাঁদের ব্যাঙ্ক কিংবা পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা সহজেই এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই স্কিমে ৬০ বছর বয়সের পরে আমানতকারী পেনশন পেতে শুরু করবেন।
অটল পেনশন যোজনা কী?
অটল পেনশন যোজনা এমন একটি সরকারি যোজনা যেখানে কারও বিনিয়োগ বয়সের ওপরে নির্ভর করে। এই স্কিমের অধীনে যে কেউ মাসিক ১ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন। এটি নিরাপদ বিনিয়োগ। যেখানে নাম নথিভুক্ত করতে হলে, সেই ব্যক্তির একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর এবং একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
এই স্কিমের সুবিধা কীকী
কোনও ব্যক্তির একটিই অটল পেনশন অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবেন। আর কোনও ব্যক্তি যত তাড়াতাড়ি পারবেন, এই স্কিমের অধীনে বিনিয়োগ করলে, তার সুবিধাও বেশি পাবেন। যদি কোনও ব্যক্তি ১৮ বছর বয়সে অটল পেনশন যোজনায় যোগদান করেন, ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পেনশন পেতে গেলে প্রতিমাসে ২১০ টাকা করে জমা দিতে হবে।
কীভাবে ১০ হাজার টাকা পেনশন
৪০ বছরের নিচে স্বামী-স্ত্রী যদি আলাদা আলাদা ভাবে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তাঁরা দুজনে ৬০ বছর বয়সের পরে ১০ হাজার টাকা পেনশন পেতে পারেন। স্বামী-স্ত্রী যাঁদের বয়স ৩০ বছর কিংবা তার কম, তারা নিজেরা নিজের নিজের অটল পেনশন যোজনার অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ৫৭৭ টাকা করে জমা করতে পারেন। যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বয়স ৩৫ বছর হয়, তাহলে তারা ওই অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ৯০২ টাকা করে জমা করতে পারেন। গ্যারান্টিযুক্ত মাসিক পেনশনের পাশাপাশি যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ মারা যান, তাহলে বেঁচে থাকা সঙ্গী প্রতিমাসে পুরো পেনশন-সহ ৮.৫ লক্ষ টাকা পাবেন।
এই প্রকল্পে করের সুবিধা
অটল পেনশন যোজনায় বিনিযোগকারী ব্যক্তিরা আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এনপিএস (ন্যাশনাল পেনশন ট্রাস্ট)-এর বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এনপিএস-এর ৪.২ কোটি গ্রাহকের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত ২.৮ কোটিরও বেশি মানুষ অর্থাৎ ৬৬%-র বেশি মানুষ অটল পেনশন যোজনাকে বেছে নিয়েছেন। এনপিএস গ্রাহকদের ৩.৭৭ কোটি বা ৮৯ শতাংশ মহানগরীগুলির অন্তর্ভুক্ত নন।