বহাল তবিয়তে আছেন দেশেই! দাবি প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত রোটোম্যাক মালিকের
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করলেন রোটোম্যাক পেন-এর চেয়ারম্যান বিক্রম কোঠারি। পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৪২৩২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করলেন রোটোম্যাক পেন-এর চেয়ারম্যান বিক্রম কোঠারি। পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ৪২৩২ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
তিনি কানপুরে, তাঁর পরিবারের সঙ্গেই আছেন। এমনটাই জানিয়েছেন রোটোম্যাক পেন কোম্পানির মালিক বিক্রম কোঠারি। ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে কথা চলছে। এখনও পর্যন্ত তিনটি বৈঠক হয়েছে। ট্রাইবুনালে বিষয়টি পেন্ডিং আছে। জানিয়েছেন বিক্রম কোঠারি।
একবছরেরও বেশি সময় আগে কোঠারিকে ঋণ খেলাপি বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ৬০০ কোটির চেক বাউন্স করার পরে ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কোঠারি। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, তাঁর এমন কোনও চেক কেউ দেখাতে পারবেন না, যা বাউন্স করেছে। বিষয়টি অপপ্রচার বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন বিক্রম কোঠারি।
ব্যাঙ্কের কত টাকা তিনি বকেয়া রেখেছেন তা যেমন জানাতে চাননি বিক্রম কোঠারি, ঠিক তেমনই পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কেউই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিক্রম কোঠারি ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক থেকে ১৪০০ কোটি টাকা, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে ৩৫২ কোটি টাকা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ১৩৯৫ কোটি টাকা, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা থেকে ৪৮৫ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক থেকে ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
মনসুখলাল কোঠারি ১৯৭৩ সালে পান পরাগের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সম্পত্তি ভাগ হয়ে যায় দুই ছেলে বিক্রম এবং দীপকের মধ্যে। দীপক পেয়েছিলেন পান পরাগ এবং বিক্রম পেয়েছিলেন রোটোম্যাক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের আধিকারিক জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের তরফে ৬৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি ৭৫০ কোটি আদায়ে ঋণ সংক্রান্ত ট্রাইবুনালে আবেদন করতে চলেছেন তাঁরা।
ইউনিয়ন
ব্যাঙ্কের
তরফে
দেহরাদুনে
কোঠারির
সম্পত্তির
মূল্যায়ন
করা
হয়েছে
বলে
জানা
গিয়েছে।
এলাহাবাদ
ব্যাঙ্কের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
ঋণ
আদায়ের
প্রক্রিয়া
জারি
রয়েছে।
খুব
শিগগিরই
অর্থ
আদায়
করা
হবে।