জিএসটি-র কী প্রভাব পড়বে সোনা আমদানির উপরে!
জিএসটির প্রভাবেই সোনার আমদানি কিছুটা কমতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটি শুরু হতে চলেছে বলে আর সোনা বিক্রেতাদের তাড়া নেই সোনা জমানোর। যার ফলে সোনার দামে কিছুটা হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সোনা আমদানি গত মে মাসে অনেক বেড়ে গিয়েছিল। গত দুইবছরের হিসাবে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছয়। ১২২ টন সোনা আমদানি করতে মোট ৪৯৫৮.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়। ২০১৫ সালের মার্চের পর এত সোনা আর আমদানি করেনি ভারত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জিএসটির প্রভাবেই সোনার আমদানি কিছুটা কমতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটি শুরু হতে চলেছে বলে আর সোনা বিক্রেতাদের তাড়া নেই সোনা জমানোর। যার ফলে সোনার দামে কিছুটা হ্রাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জুন মাসে সোনা আমদানি অনেকটা কমতে চলেছে। তার অন্যতম কারণ হল, সামনেই সেরকম কোনও উৎসব নেই এবং বিয়ের মরশুমও শেষ হয়ে গিয়েছে।
আর তাই সোনা বিক্রেতারা অপেক্ষা করে রয়েছে কবে জিএসটি লাগু হবে। তারপরই সোনা বেশি করে বিক্রির তোড়জোড় শুরু হবে। ফলে এই জুন মাসে মাত্র ৪০ টন সোনা আমদানি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জিএসটি শুরু হলে ১ শতাংশ রাজস্ব শুল্কের সুবিধা হারাবেন সোনা বিক্রেতারা। তাছাড়া এই সময়ে চাহিদাও অনেক কম রয়েছে ভারতের বাজারে। আর জিএসটি চালু হলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শুল্ক মিলে যাবে জিএসটিতে। জিএসটি চালু হলে তার ফলাফল বুঝে সোনা আমদানি বাড়াবেন সোনা বিক্রেতারা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।