জিএসটি-র কাউন্টডাউন শুরুর আগেই আশঙ্কায় ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা, কিন্তু কেন!
শেষ মুহূর্তে জিএসটির তালে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির।
আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সারা দেশে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর। আগামী ১ জুলাই থেকে সারা দেশে এই অভিন্ন কর পরিষেবা চালু হবে। তবে শেষ মুহূর্তে জিএসটির তালে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির। [আরও পড়ুন : জিএসটি-র কী প্রভাব পড়বে সোনা আমদানির উপরে!]
এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, জিএসটিতে মাসিক হিসাব জমা করার ব্যাপার রয়েছে। ফলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টরা তাদের ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ইতিমধ্যে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। [আরও পড়ুন : জিএসটি লাগু হলে কোন কোন স্তরে করের টাকা কাটবে সরকার]
ফলে গত কয়েকমাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েও ছোট ও মাঝারি উদ্যোগপতিরা বিপাকে পড়েছেন। সবকিছু যেন নতুন করে হিসাব করতে হচ্ছে। আর বড় কোম্পানিগুলি ২০-৩০ জনের একটি দল তৈরি করে জিএসটিকে সামাল দেওয়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। [আরও পড়ুন : জিএসটি বিল পাশে কোন দুই বাঙালির অবদান সবচেয়ে বেশি জানেন কি?]
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে জিএসটির করের ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখনও কোম্পানিগুলি কোন খাতে কত খরচ, কত আয় তার হিসাব চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকের ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত থমকে গিয়েছে। এবং সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে ছোট সরবরাহকারীদের।
জিএসটিএন প্ল্যাটফর্মে ছোট সরবরাহকারীদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। যতক্ষণ না তাদের নাম নথিভুক্ত হবে, তাঁরা জিএসটি চেনের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আর এখানেই অনেক সাপ্লায়ার বেঁকে বসেছে। অনেকেই নাম নথিভুক্ত করাতে চাইছে না।
এছাড়া প্রতিটি সংস্থার কর্পোরেট ইমেল আইডি তৈরি করতে হবে। এমনি ইয়াহু বা আউটলুক মেল ব্যবহার করা যাবে না কারণ জিএসটিএন সার্ভার থেকে এই ধরনের মেলে মেসেজ পাঠানো যায় না। এই সমস্যা দূরীকরণের চেষ্টাও চলছে। এছাড়া ব্যবসায়িক পরিচয়পত্র ও পাসওয়ার্ড প্রদানের কাজও চলছে যা নিয়েও সমস্যা রয়েছে। আর এসবের মাঝেই জিএসটি বলবৎ হতে চলেছে।