কাপড়ের ওপরে জিএসটি বৃদ্ধি আপাতত কার্যকর হচ্ছে না, কাউন্সিলের বৈঠকে নয়া সিদ্ধান্ত
আপাতত কাপড়ের (textile) ওপরে জিএসটির (gst) বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে না। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে (gst council meeting) সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে কাপড়ের ওপরে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে
আপাতত কাপড়ের (textile) ওপরে জিএসটির (gst) বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে না। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে (gst council meeting) সর্বসম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে কাপড়ের ওপরে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে এব্যাপারে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধিতা
৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজ্যের তরফ থেকে ১ জানুয়ারি থেকে কাপড়ের ওপরে জিএসটি বৃদ্ধির বিরোধিতা করে তা স্থগিত রাখার দাবি করা হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ডাকা প্রাক বাজেট বৈঠকে গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, রাজস্থান, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য বলে তারা কাপড়ের ওপরে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার বিরুদ্ধে।
জিএসটি কাউন্সিলের ৪৬ তম বৈঠকে বিরোধিতার মুখে অর্থমন্ত্রী
এদিনই
জিএসটি
কাউন্সিলের
৪৬
তম
বৈঠকে
যোগ
দেন
কেন্দ্রীয়
অর্থমন্ত্রী
নির্মলা
সীতারমন।
সেখানে
অংশ
নেন
রাজ্যের
অর্থমন্ত্রীরাও।
ওই
বৈঠকের
জিএসটি
বৃদ্ধি
নিয়ে
গুজরাতের
বিরোধিতা
নিয়ে
আলোচনাই
একমাত্র
অ্যাজেন্ডা
ছিল।
এই
বৈঠকে
কেন্দ্রীয়
অর্থ
প্রতিমন্ত্রী
পঙ্কজ
চৌধুরী
এবং
কৃষ্ণরাও
কারাডও
উপস্থিত
ছিলেন।
২০২২-২৩
সালের
কেন্দ্রীয়
বাজেটের
আগে
এদিনের
বৈঠক
যথেষ্টই
গুরুত্বপূর্ণ
ছিল।
প্রসঙ্গত
১
ফেব্রুয়ারি
এবছরের
বাজেট
পেশ
হবে
বলে
নির্ধারিত
আছে।
বিরোধিতা করেছিলেন অমিত মিত্র
পশ্চিমবঙ্গের
প্রাক্তন
অর্থমন্ত্রী
অমিত
মিত্র
কাপড়ের
ওপরে
জিএসটি
বৃদ্ধির
বিরোধিতা
করে
কেন্দ্রীয়
অর্থমন্ত্রীর
কাছে
প্রস্তাবিত
বৃদ্ধি
ফিরিয়ে
নেওয়ার
দাবিও
তুলেছিলেন।
তিনি
বলেছিলেন,
কাপড়ের
ওপর
জিএসটি
বৃদ্ধি
হলে
প্রায়
একলক্ষ
কাপড়ের
কল
বন্ধ
হয়ে
যাবে
এবং
প্রায়
১৫
লক্ষ
মানুষ
কাজ
হারাবেন।
দিল্লি
সরকারের
তরফে
কাপড়ের
ওপরে
জিএসটি
বৃদ্ধি
নিয়ে
ব্যবসায়ীদের
প্রতিবাদকে
সমর্থন
জানানো
হয়।
এব্যাপারে
সেখানকার
উপ
মুখ্যমন্ত্রী
মনীশ
সিসোদিয়া
ব্যবসায়ীদের
বিক্ষোভকে
সমর্থন
করে
টুইও
করেন।
তিনি
বলেন,
আপ
এবং
দিল্লির
সরকার
কর
কম
রাখার
পক্ষপাতি।
জিএসটি
কাউন্সিলের
বৈঠকেও
তিনি
বিষয়টি
তুলবেন
বলে
জানিয়েছিলেন।
বিভিন্ন
শিল্প
সংস্থার
তরফেও
কাপড়ের
ওপরে
জিএসটি
বৃদ্ধির
বিরোধিতা
করা
হয়েছিল।
কেননা
এইসব
কাপড়ের
কলের
অনেকগুলিই
অংসগঠিত
ক্ষেত্রে
কিংবা
ছোট
ও
মাঝারি
শিল্পের
অন্তর্গত।
এইসব
শিল্প
কম
পয়সায়
গরিব
মানুষের
বস্ত্রের
ব্যবস্থা
করে
থাকে।
জিএসটি
বৃদ্ধি
হলে
তা
গরিব
মানুষের
ওপরে
প্রভাব
ফেলবে
বলে
সরকারকে
স্মরণ
করিয়ে
দিয়েছিল
বিভিন্ন
শিল্প
সংস্থা।
সিবিআইসির ঘোষণার জেরে উদ্বেগ বেড়েছিল
এবছরের শুরুর দিকে জিএসটি কাউন্সিলের সুপারিশে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের তরফে পোশাক, কাপড় এবং জুতোর ওপরে জিএসটি বৃদ্ধি করে ১২ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছিল। যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে।