জিডিপির নেমে যাওয়া অত্যন্ত খারাপ, সরকার অর্থনৈতিক ধস আঁচ করতে ব্যর্থ, মত অর্থনৈতিক মহলের
নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের মতো বড় ঘটনা ঘটালেও অর্থনৈতিক ধস সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে আগামী দুটি কোয়ার্টারেও এই ধাক্কা সামলে ওঠা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে।
জিডিপির মুখ থুবড়ে পড়া ভাবিয়ে তুলেছে অর্থনীতিবিদদের। সারা দেশে জিএসটি চালু করা ও একইসঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন কমে আসা এর অন্যতম মুখ্য কারণ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সরকারি হিসাব বলছে, জিডিপি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কমে ৫.৭ শতাংশে এসে ঠেকেছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের পর এতটা নিচে জিডিপি আর নামেনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের মতো বড় ঘটনা ঘটালেও অর্থনৈতিক ধস সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে আগামী দুটি কোয়ার্টারেও এই ধাক্কা সামলে ওঠা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে।
আগামী কোয়ার্টারে জিএসটির প্রভাব হবে সবচেয়ে বেশি। সার্বিক বৃদ্ধিতে তা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। কতগুলি কোম্পানি বিনিয়োগ করছে ও কীভাবে করছে তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঘটনা হল, নোট বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা এখনও তার জের কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তার উপরে জিএসটির ধাক্কায় অনেকেই কুপোকাত হয়েছেন।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে বেসরকারি বিনিয়োগ সাম্প্রতিক সময়ে একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফলে তা যতক্ষণ না বাড়ছে ততক্ষণ জিডিপির খুব বেশি বৃদ্ধি হওয়া কঠিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে ভারতের জিডিপি নেমে পৌঁছেছে ৫.৭ শতাংশে। আগের কোয়ার্টারে তা ছিল ৬.১ শতাংশ। উৎপাদন শিল্পে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লেগেছে। ৫.৩ শতাংশ থেকে তা জিএসটির ধাক্কায় ১.৩ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। গতবছরে এই সময়ে ভারতের জিডিপি ছিল ৭.৯ শতাংশ। সেখান থেকে ২ শতাংশের বেশি নিম্নগামী হয়েছে জিডিপি।