
পিছিয়ে পড়লেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি! এশিয়ার সব থেকে ধনী এবার গৌতম আদানি
মোট সম্পত্তির নিরিখে পিছিয়ে পড়লে রিলায়েন্স (Reliance) ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) । এশিয়ায় ধনীর নিরিখে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে এশিয়ার সব থেকে ধনী ব্যক্তি হলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani)। ২০১৫ সালের জুন থেকে এশিয়ার সব থেকে ধনী ব্যক্তি ছিলেন মুকেশ আম্বানি।

সবচেয়ে ধনী গৌতম আদানি
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রুপ মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের ভিত্তিতে গৌতম আদানি মুকেশ আম্বানিকে ছাড়িয়ে এশিয়ার সব থেকে ধনী হয়েছেন। ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবারের ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯১ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৮.৮ বিলিয়ন ডলার। শতাংশের নিরিখে দুই ভারতীয়ের সম্পদের তফাত এই মুহূর্তে ২.৪ শতাংশের মতো।

প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও
এই রিপোর্টের প্রভাব এদিন শেয়ার বাজারেও পড়েছে। এদিন রিলায়েন্সের শেয়ারের দাম ১.৭২ শতাংশ পড়ে যায়। অন্যদিকে এদিন আদানি গ্রুপের বিভিন্ন শেয়ারের দাম বেড়েছে। এদিন আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার দাম বেড়েছে ২.৩৪%, আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪%। এদিনের বৃদ্ধির পরে এই দুই কোম্পানির সর্বমোট মূল্য পৌংছে গিয়েছে ৩.৫ লক্ষ কোটিতে। যদিও এদিন আদানি ট্রান্সমিশন যার বাজারের মূল্য ২.১৩ লক্ষ কোটি তার মূল্য কমেছে ০.৭৪%। দাম কমেছে আদানি পাওয়ারের। যার বাজারের মূল্য প্রায় ৪১০০০ কোটি, দাম কমেছে ০.৩৩%। এছাড়াও আদানি গ্রুপের অপর দুই শেয়ার আদানি গ্রিন এবং আদানি টোটাল গ্যাসের দাম ১ শতাংশের মতো কমেছে।

এই বছরে আম্বানির তুলনায় আদানির সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ
এই বছরে আম্বানির তুলনায় আদানির সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এই বছরে আদানির মোট সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলার, অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির সম্পদ বেড়েছে ১৪.৩ বিলিয়ন ডলার।

করোনা কালে ব্যাপক সম্পদ বৃদ্ধি আদানির
গত ২০২০-র এপ্রিল থেকে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ প্রবল গতিতে বেড়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-র ১৮ মার্চ আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪.৯১ বিলিয়ন ডলার। গত ২০ মাসে গৌতম আদানির সম্পদ বেড়েছে ১৮০৮ শতাংশের বেশি। যার পরিমাণ ৮৩.৮৯ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ের মধ্যে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ বেড়েছে ২৫০ শতাংশ। যার পরিমাণ ৫৪.৭ বিলিয়ন ডলার।