কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে
ক্রেডিট অ্যাক্সেস হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। এটি শিল্প এবং খুচরা ঋণের ক্ষেত্রে যেমন প্রয়োজ্য কৃষির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হল ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে। বুধবার ২০২৩-এর বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রস্তাবে যে বিজেপি সরকার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের সহায়ক হয়ে উঠতে চাইছে, তা স্পষ্ট।
২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকার কৃষকদের সাহায্য করার জন্য ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরমের প্রস্তাবনা রেখেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি-স্টার্টআপ শুরুতে উৎসাহিত করার জন্য একটি 'কৃষি এক্সিলারেটর ফান্ড' স্থাপন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী সীতারামন এদিন বলেন, পশুপালন, দুগ্ধ ও মৎস্য চাষে ফোকাস রেখে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সীতারামন আরও বলেন, আগামী ৩ বছরে এক কোটি কৃষক এই সহায়তা লাভ করতে পারবেন। ১০ হাজার বায়ো ইনপুট রিসোর্স সেন্টারও স্থাপন করা হবে বলে তিনি বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন।
কৃষি সারের জন্য এবং বিকল্প সারের প্রচারের জন্য রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করতেও বিশেষ ভাবনা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। তিনি রাজ্যগুলিকে উৎসহিত করতে পিএম প্রণাম প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন। নির্মলা সীতারামন সংসদে ঘোষণা করেছেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মিলেট রিসার্চকে শ্রেষ্ঠত্বের কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হবে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের এই বাজেট ঘোষণার পর প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে থেকে ইতিচাবক সাড়া মিলেছে। কৃষি ক্রেডিট ব্যয় এবং কৃষি ক্রেডিট সোসাইটির ডিজিটালাইজেশনের পুনরুক্তিও করেন তিনি। ক্রেডিট অ্যাক্সেস হল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। এটি শিল্প এবং খুচরা ঋণের ক্ষেত্রে যেমন প্রয়োজ্য কৃষির ক্ষেত্রেও সত্য। বৃহত্তর ডিজিটাইজেশন ক্রেডিট অ্যাক্সেসকে উন্নত করবে বলে মত বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর।
২০২২-১৩ বাজেটে বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১.২৪ লক্ষ কোটি টাকার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ২০২২-২৩ সালের বাজেটে কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা বিভাগে ৮৫১৩.৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের বাজেট অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতের মোট মূল্য সংযোজন ছিল ১৮.৮ শতাংশ।
২০২২ সালের বাজেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল গঙ্গা নদীর নিকটবর্তী কৃষকদের জমি থেকে শুরু করে রাসায়নিক মুক্ত প্রাকৃতিক চাষের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল। কেন্দ্র তার আগের বাজেটে ফসল-পরবর্তী মূল্য সংযোজন, বাজরা পণ্যের ব্যবহার এবং ব্র্যান্ডিং প্রচারের কথা বলেছিল।
বাজেট 2023 LIVE: অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করবেন নাগেশ্বরন, নজর জিডিপিতে
নির্মলা সীতারামনের বাজেট এছাড়াও পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলের মাধ্যমে কৃষকদের ডিজিটাল এবং হাই-টেক পরিষেবা সরবরাহের কথা বলা বয়েছে। কৃষি স্টার্টআপগুলিকে অর্থায়নের জন্য তহবিল চালু করা ছিল গত কেন্দ্রীয় বাজেটে।
Railway Budget: ভারতীয় রেলে ২.৪০ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করে নয়া ইতিহাস মোদী সরকারের