অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধেই অভিযোগ! বিন্নি বনশলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেও, কার্যত অভিযোগ তুলে নিলেন ফ্লিপকার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিন্নি বনশাল। সূত্রের খবর এমনটাই।
অভিযোগকারী মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেও, কার্যত অভিযোগ তুলে নিলেন ফ্লিপকার্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিন্নি বনশাল। সূত্রের খবর এমনটাই। সপ্তাহ দুয়েক আগে বিন্নির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। তিনি নিজেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে ফ্লিপকার্টের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
বিন্নি বনশালের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণা ও মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বিন্নি। পুলিশের তরফে বয়ান রেকর্ডের সময়ও জানানো হয়। তবে এরই মধ্যে অভিযোগকারী মহিলা মিথ্যা অভিযোগের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন বলে জানা গিয়েছে।
কোরমাঙ্গলা থানায় বিন্নি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগ নিয়ে আর না এগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে প্রয়োজন মতো সেই মামলা তিনি দায়ের করতে পারবেন। সূত্রের খবর এমনটাই। ১৩ নভেম্বর ফ্লিপকার্ট ছেড়েছিলেন বিন্নি। এর দিন কয়েক পরে তিনি থানায় গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
গত সপ্তাহে বিন্নি পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফ্লিপকার্টের গ্রুপ সিইও-র পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৭ সালে সচিন বনসালের সঙ্গে তিনি ফ্লিপকার্টের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
বাণিজ্য জগতের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, যেহেতু সম্পর্কে সময় ওই মহিলা কর্মী ছিলেন না, তিনি অফিসিয়াল কেসও দাখিল করেননি। সেক্ষেত্রে বিন্নিকে ছেড়ে চলে যেতে বলা কঠিন সিদ্ধান্ত।
যদি এক্ষেত্রে কোনও আদালতের মামলা কিংবা এফআইআর দায়ের কথা না হয়, তাহলে তা ডাইনি খোঁজার মতো বলেই মনে করছেন বাণিজ্য জগতের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা।
ফ্লিপকার্টের গ্রুপ সিইও ২০১৬-তে বেঙ্গালুরুর এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যদিও কয়েকমাস পরেই তার অবসান হয়। এরপরেই ওই মহিলা বনসালের কাছে টাকার দাবি করে থাকেন বলে অভিযোগ। সেই সময় বিন্নি কেন পুলিশকে জানাননি তাও পরিষ্কার নয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিন্নি ওই মহিলাকে ২০১৬ সালে কিছু টাকা দেন। এরপর থেকে মাঝেমধ্যে সেই দাবি উঠত। কিন্তু এবছরের মে মাসে ফের টাকার দাবি ওঠে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মহিলার দাবির সঙ্গে সহমত না হওয়ায় কিংবা সাড়া না দেওয়ায় তিনি ওয়ালমার্টে সিইও ডাগ ম্যাকমিলানের কাছে বিন্নির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন। ঘটনাটি এবছরের জুলাইয়ের। এরপরেই ওয়ালমার্টের তরফ থেকে আন্তর্জাতিক আইনি পরামর্শদানকারী সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয় বিষয়টির তদন্তের জন্য।