ফেসবুক কি আদৌ আর নিরাপদ, ফের ৪ লক্ষ অ্য়াকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ইউজারের তথ্য চুরি
যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডু-তে নয়, যত কাণ্ড ফেসবুকে। কারণ, ফেসবুকে ফের তথ্য চুরির ঘটনা ঘটল। মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা খোদ স্বীকার করেছে এই তথ্য। ফেসবুক জানিয়েছে এই তথ্যচুরির ঘটনা ঘটেছে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে।
যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডু-তে নয়, যত কাণ্ড ফেসবুকে। কারণ, ফেসবুকে ফের তথ্য চুরির ঘটনা ঘটল। মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা খোদ স্বীকার করেছে এই তথ্য। ফেসবুক জানিয়েছে এই তথ্যচুরির ঘটনা ঘটেছে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে। ২৫ সেপ্টেম্বর তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের। জানানো হয়েছে হ্য়াকাররা ৪ লক্ষ অ্যাকাউন্টকে হ্যাক করে ৩ কোটি ইউজারের অ্যাকসেস টোকেন হস্তগত করেছে। যার জেরে এই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ইমেল, নাম, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে।
ফেসবুক থেকে জানানো হয়েছে ৩ কোটি ইউজারের মধ্যে ১.৪ কোটি-র নাম, লিঙ্গ, যোগাযোগের তথ্য, রিলেশনশিপ স্টেটাস, সম্প্রতি কোথায় কোথায় গিয়েছেন - জাতীয় তথ্য হ্যাকাররা নিয়ে নিয়েছে। বাকি ইউজারদের মধ্যে ১.৫কোটি ইউজারের নাম ও যোগাযোগের তথ্য চুরি গিয়েছে। ১০ লক্ষ ইউজারের শুধু অ্যাকসেস টোকেন-এর তথ্য চুরি গিয়েছে।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। এই তথ্যচুরির পিছনে কারা রয়েছে তা যেন বাইরে কোনওভাবেই আলোচনা না করা হয় বলে নাকি ফেসবুককে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন এই গোয়েন্দা সংস্থা। ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই রোসেন জানিয়েছেন, যারা এই তথ্যচুরির সঙ্গে জড়িত তারা ফেসবুক-এর নিয়মিত ইউজার হতে পারে এবং এরা সংখ্যায় কমও হতে পারে , আবার বেশি সংখ্য়াতেও হতে পারে। গোটা বিষয়টি ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং আইরিশ ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের-কে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন রোসেন। তিনি আরও বলেছেন, মানুষের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। গোটা ঘটনার জন্য ফেসবুকের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রোসেন। ফেসবুকের পক্ষ থেকে এই তথ্য চুরির কথা জানিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সেপ্টেম্বরের শেষে সুরক্ষায় ছিদ্র নিয়ে বলা হয়েছিল ৫ কোটি অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর সঙ্গে আরও ৪ কোটি অ্য়াকাউন্টও প্রভাবিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল এই বিবৃতিতে। শেষমেশ এই সংখ্যাটা ৩কোটি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
২০১৮- শুরু থেকেই তথ্য চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ফেসবুক। এই নিয়ে কম বিতর্ক হচ্ছে না। তারমধ্যে এই নতুন করে বিপত্তি। বৃহস্পতিবারই ফেসবুক ৫৫৯টি পেজ এবং ২৫১টি অ্যাকাউন্টে সংস্থার স্প্যাম পলিসি মেনে ডিলিট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তথ্যচুরি বিতর্কে ক্রমাগতই আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেসবুক। শুক্রবার ফেসবুকের শেয়ারের দামও পড়ে যায়।