co-location মামলায় NSE-এর প্রাক্তন প্রধান রবি নারাইণকে গ্রেফতার করল ইডি
NSE-co-location মামলাতে বড়সড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট (Enforcement Directorate) ডিরেক্টরেট। এনএসই'র প্রাক্তন সিইও এবং এমডি রবি নারায়ণকে (Ravi Narain) গ্রেফতার করল তদন্তকারী সংস্থা। নারায়ণের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্
NSE-co-location মামলাতে বড়সড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট (Enforcement Directorate) ডিরেক্টরেট। এনএসই'র প্রাক্তন সিইও এবং এমডি রবি নারাইণকে (Ravi Narain) গ্রেফতার করল তদন্তকারী সংস্থা। নারাইণের বিরুদ্ধে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে NSE কর্মীদের ফোন বেআইনিভাবে ট্যাপ করার অভিযোগ রয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ১৪ জুলাই নারাইণ, প্রাক্তন এনএসই প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পান্ডের বিরুদ্ধে পিএমএলএর অধীনে একটি মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উল্লেখ্য এর আগে সিবিআইয়ের তরফেও এই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ গত এক সপ্তাহ আগে ইডি-র বিশেষ আইনজীবী এন কে মাট্টা দিল্লি হাইকোর্টে এই বিষয়ে জোরাল সওয়াল করেন। তিনি বলেছিলেন, নারায়ণ এবং অন্যান্য অভিযুক্ত এনএসই এবং এর কর্মীদের প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এমনকি পান্ডের তৈরি সংস্থা iSEC Services Pvt Ltd-এর মাধ্যমে কর্মীদের উপর একেবারে অবৈধ ভাবে নারায়ণ ফোন ট্যাপ করতেন বলেও আদালতে জানানো হয়।
NSE এর সাইবার নিরাপত্তার আড়ালে এটি করা হয়েছিল বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। বলে রাখা প্রয়োজন, ধৃত রবি নারায়ণকে (Ravi Narain) ১৯৯৪ সাল ২০০৩ সাল পর্যন্ত এনএসই'র চিফ ছিলেন। এরপর চিত্রা রামকৃষ্ণ এই দায়িত্বে আসেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। দুজনেই বড়সড় এই কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
co-location পরিষেবা আসলে কি?
co-location পরিষেবা'র মাধ্যমে ব্রোকার্সদের নিজস্ব সার্ভার সেট আপ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এর সাহায্যে তারা দ্রুত শেয়ার বাজারের গতিবিধি জানতে পারে। শুধু তাই নয়, এভাবে দ্রুত লাভও তাঁরা ওঠাতে পারে। তদন্তে জানা যায়, একাধিক ব্রোকার্স এই সুবিধা ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের ফায়দা উঠিয়েছে।
এমনকি একেবারে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছে। তদন্তে জানা যায়, পুরো অ্যালগরিদমের সাথে টেম্পার করা হয়েছে। গত মাসে চিত্রা রামকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। অবৈধ ফোন ট্যাপিং এবং এক্সচেঞ্জ কর্মীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি সংক্রান্ত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।