আবারও প্রতারণা! প্রায় ১ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক দেখিয়ে ১২, ৭৭৩ কোটি লোপাটে অভিযুক্ত ডিএইচএফএল
দেশ জুড়ে ফের প্রতারণার হদিশ ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেওয়ান হাউসিং, ফিনান্স কর্পোরেশন ১২,৭৭৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
দেশ জুড়ে ফের প্রতারণার হদিশ ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেওয়ান হাউসিং, ফিনান্স কর্পোরেশন ১২,৭৭৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু তা ৭৯ টি কম্পানিতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতারণা করতে ১ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহকও তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে।
ইডির খাতায় ভুয়ো কম্পানি
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভুয়ো গ্রাহকদের নিয়ে তদন্ত করতে নেমে কিছু কম্পানির হদিশ পায় ইডি। এই ধরনের পাঁচটি কম্পানিকে ২,১৮৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে। সেই কম্পানিগুলি হল ফেইথ রিয়েলটরস প্রাইভেট লিমিটেড, মার্ভেল টাউনশিপ প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাবেল রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড, পোসেডন রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং র্যানডম রিয়েলটরস প্রাইভেট লিমিটেড। যা ২০১৯-এর জুলাইয়ে সানবিঙ্ক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওরলির তিনটি সম্পত্তি কেনার পর থেকেই সানব্লিঙ্ক ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। সেগুলি হল রাবিয়া ম্যানসন, সি ভিউ এবং মারিয়াম লজ। যা কিনা ২০১০ সালেও প্রয়াত গ্যাংস্টার ইকবাল মেমনের ছিল।
গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রমোটর
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০১১-১২ সালে ১৫০০ কোটি টাকা ওপরে উল্লিখিত পাঁচটি কম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল। যা অবৈধ উপায়ে ডিএইচএফএল থেকে দেওয়া হয়েছিল। ডিএইচএফএল-এর প্রমোটর কপিল ওয়াধয়া এই কাজে সরাসরি যুক্ত। সোমবার তাকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
ইডির তরফে তল্লাশি
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ডিএইচএফএল-এর সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তির খোঁজে তল্লাশি চালানেনা হচ্ছে সারা দেশে।
আইনজীবীর দাবি
ইডির দাবি ডিএইচএফএল-এর অপর প্রমোটর ধীরাজ ওয়াধয়া বেশ কিছু সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যার জন্য তার সঙ্গে মিরচির বৈঠকও হয়েছিল। অন্যদিকে ওয়াধয়ার তরফে দাঁড়ানো আইনজীবী অমিত দেশাই দাবি করেছেন মিরচির সঙ্গে ডিএইচএফএল-এর কিছুই করার ছিল না।