করোনা লকডাউনের জেরে যেতে পারছেন না এটিএম-এ, বাড়িতে বসে টাকা পাওয়ার উপায়ও আছে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকের পক্ষে ব্যাঙ্কের এটিএম-এ যাওয়াও কঠিন ব্যাপার। তবে এর মধ্যেও উপায় আছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকের পক্ষে ব্যাঙ্কের এটিএম-এ যাওয়াও কঠিন ব্যাপার। তবে এর মধ্যেও উপায় আছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকারও ব্যাঙ্কের কাজকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার মধ্যে ফেলেছে।
১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে লকডাউন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের মতো করে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল। এরপর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী সারা দেশে ১৪ এপ্রিল রাত ১২ টা পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন।
ব্যাঙ্ক আসবে ঘরের দরজায়
কিন্তু কীভাবে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য পৌঁছে দেওয়া যাবে পরিষেবা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে তার উত্তরও রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিই ঘরের দরজায় টাকা দিয়ে যাবে। এজন্য বাড়ি থেকেই আপনি আপনার টাকার জন্য অর্ডার দিতে পারেন। ঘরে বসে থেকেই পেয়ে যাবেন টাকা।
এসবিআই, এইচডিএসফির সুবিধা
দেশের সব থেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে ঘরের দরজায়। ব্যাঙ্কের ডোরস্টেপ ডেলিভারি সার্ভিসের অধীনে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়। যদি আপনি টাকা জমা দিতে চান তাও সম্ভব। তবে এই সুবিধা বর্তমানে শুধুমাত্র বয়স্ক নাগরিক এবং বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষদের জন্য প্রযোজ্য। তবে জরুরি প্রয়োজনে এই পরিষেবার জন্য ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ১০০ টাকা চার্জ নেওয়া হয়ে থাকে।
দেশের সব থেকে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি এই সুবিধা দিয়ে থাকে। ৫০০০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। এই পরিষেবা দিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ নেওয়া হয়। এছাড়াও কোটাক মাহিন্দ্রা, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কও এই সুবিধা দিয়ে থাকে গ্রাহকদের।
পেতে পারেন ইন্টারেস্ট লোন
জরুরি প্রয়োজনে হাতে টাকা নেই। সেই পরিস্থিতিতে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকার ব্যবস্থা করতে পারেন। অনেক আর্থিক সংস্থা ইন্টারেস্ট লোনের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকে। এর জন্য সেইসব কোম্পানির অ্যাপসে দিয়ে আপনার কেওয়াইসি দিতে হবে। এরপরেই ১২-২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনি লোন পেয়ে যাবেন, সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে।