নোটবাতিল কালো টাকা রুখবে না! আরবিআই বলেছিল মোদী সরকারকে
নোট বাতিলের সময় যেসব কারণ সরকারের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছিল, তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৎকালীন বেশ কয়েকজনক ডিরেক্টরকে।
নোট বাতিলের সময় যেসব কারণ সরকারের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছিল, তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৎকালীন বেশ কয়েকজনক ডিরেক্টরকে। কিন্তু তাঁরা প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে গিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল ছয়মাস বৃহত্তর জনস্বার্থে। যদিও এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিট্যাল পেমেন্টস-এ উন্নীত করার সুযোগ প্রদান করে।
সরকার দাবি করেছিল, নোট বাতিল কালো টাকার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। এছাড়াও ৫০০ ও ১০০০ টাকার জাল নোটেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। এছাড়াও ই-পেমেন্টসও বাড়বে। কিন্তু ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার কিছু আগে, বিকেল ৫.৩০ নাগাদ আরবিআই-এর একটি বৈঠক। সেই বৈঠক সংক্রান্ত তথ্যও সামনে এসেছে। যাতে ডিরেক্টরদের তরফে বলা হয়েছে, বেশিরবাগ কালো টাকা নগদে নেই। রয়েছে রিয়েল সেক্টর অ্যাসেটে। রয়েছে সোনা হিসেবেও। ফলে সরকারের সিদ্ধান্তে অ্যাসেটের ওপর সেরকম কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরবিআই-এর
কিছু
ডিরেক্টর
সরকারি
মতের
বিরুদ্ধে
যুক্তিও
সাজিয়েছিলেন।
বড়
মূল্যের
টাকার
বৃদ্ধি
অর্থনৈতিক
গতির
থেকে
বেশি
গতিতে
বাড়ছে।
তখন
বলেছিল
সরকার।
আরবিআই
ডিরেক্টরদের
অনেকেই
২০১৬-১৭
সালে
জিডিপির
ওপর
শর্টটার্ম
নেগেটিভ
এফেক্ট
নিয়ে
সরকারকে
সতর্ক
করেছিলেন
বলে
জানা
যাচ্ছে।
যদিও
তাঁরা
সরকারের
সিদ্ধান্তকে
প্রশংসনীয়
পরিমাপ
বলে
ব্যাখ্যা
করেছিলেন।
এইসব বাধ্যবাধকতা তাকা সত্ত্বেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড নোটবাতিলের সিদ্ধান্তকে মঞ্জুর করেছিল। যার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আরবিআই-এর তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রক থেকে এর সমর্থনে নোট দেওয়া হয়েছিল। যাতে বাজার থেকে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থী তালিকা! দিল্লিতে বৈঠক বিজেপি নেতৃত্বের]
আরবিআই বোর্ডে সিদ্ধান্ত অনুমোদনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় টেলিভিশনে বাজার থেকে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন:সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ! ত্রালে মৃত্যু পুলওয়ামা হত্যার মূল ষড়যন্ত্রী মুদাসরের]
সরকারের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, ২০১১-১২ থেকে ২০১৫-১৬ সালের মধ্য়ে অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ হারে। কিন্তু ৫০০ টাকার বৃদ্ধি হয়েছে ৭৬ শতাংশ এবং ১০০০ টাকার বৃদ্ধি হয়েছে ১০৯ শতাংশ হারে। বিপরীতে আরবি বলে, রিয়েল রেটেই অর্থনীতির বৃদ্ধি হচ্ছে। এখানে কারেন্সির বৃদ্দিও স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: কোন রাজ্যে কবে কবে ভোটগ্রহণ, একনজরে জানুন সম্পূর্ণ সূচি]