
দেশে রেকর্ড ভাঙা মুদ্রাস্ফীতি! ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭.৪১%
দেশে ফের মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড ভাঙল। সেপ্টেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৭.৪১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। অথচ অগাস্টেই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে অন্য মাসের তুলনায় সবজি, মশলা, ডাল, দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে ফলের দামও।

দুটি ভিন্ন তথ্য
সিপিআই অর্থাৎ কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সে দেখানো হয়েছে গত অগাস্টে দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭.৪১ শতাংশ। যা গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে আলাদা করে ইনডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাক্টরি আউটপুটের তথ্যও প্রকাস করা হয়েছে এদিন। সেখানে বলা হয়েছে গত অগাস্টে তার ০.৮ শতাংশ সংকোচন হয়েছিল।

টানা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মার্জিনের ওপরে
এনিয়ে টানা নবার কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপরের ৬ শতাংশের মার্জিনের ওপরে রয়েছে। সরকারের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বলা হয়েছে ২০২৬-এর মার্চের মধ্যে উভয় দিকে ২ শতাংশ মার্জিন-সহ খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশে রাখতে নির্দেশ দিয়েছে।

ভবিষ্যদ্বাণী ছিল ৭.৩ শতাংশের আশপাশে
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদদের ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করে বলা হয়েছিল সেপ্টেম্বরের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি থাকতে পারে ৭.৩ শতাংশের আশপাশে।

চেষ্টা করে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
আরবিআই-এর দ্বিমাসিক মুদ্রানীতি তৈরির সময় খুচরো মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি কাজ করে। ৩০ সেপ্টেম্বর মুদ্রানীতি কমিটি রেপোরেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৫.৯০ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করে। এই আর্থিক বছরে এনিয়ে রেপো রেট ১৯০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। যদিও রিজার্ব ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপের পরেও মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ সহনশীলতার ওপরের স্তরে রয়ে গিয়েছে।

খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও বেড়েছে
অন্যদিকে কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি অগাস্টের ৭.৬২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্টেম্বরে ৮.৬০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ১৮.০৫ শতাংশ। মশলার দাম ১৬.৮৮ শতাংশ, ডাল জাতীয় পণ্য ১১.৫৩ শতাংশ, দুধ জাতীয় পণ্য ৭.১৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে এই সময় জিমের দাম ১.৭৯ শতাংশ কমেছে। ফলের দাম বেড়েছে ৫.৬৮ শতাংশ। এছাড়াও এসময়ে যেসব জিনিসের গাম বেড়েছে তার মধ্যে জ্বালানির দাম ১০.৩৯ শতাংশ, পোশাক ও জুতো ১০.১৭ শতাংশ বেড়েছে।