
রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ ভারতেও! একধাক্কায় এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধি ১০০ টাকার বেশি
মার্চের শুরুটাই হল খারাপ খবর দিয়ে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে আঁচ ভারতের হেঁসেলে। সোমবার রাতে এলপিজি (lpg) গ্রাহকদের বোঝা একশো টাকার বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি (oil marketing companies) মধ্যরাত থেকে এলপিজির দাম বাড়ানোর (increase) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রথম কোপ বাণিজ্যিক (commercial) গ্রাহকদের (consumer) ওপরে। সিলিন্ডার (cylinder) পিছু ১০৮ টাকা করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতায়।

বেড়েছে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম
সোমবার গভীর রাত থেকে সারা দেশে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে এই দাম বৃদ্ধি ১০৮ টাকা। ১ মার্চ থেকে ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াচ্ছে ২০৯৫ টাকা। দিল্লিতে ১০৫ টাকা বৃদ্ধির পরে ১৯০৭ টাকা থেকে বেড়ে গচ্ছে ২০১২ টাকা। মুম্বইতে ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৮৫৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হচ্ছে ১৯৬৩ টাকা।

গার্হস্থ এলপিজির দাম বাড়েনি
তবে গার্হস্থ এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়েনি এই দফাতেও। তবে ইতিমধ্যেই অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ১০২ টাকা অতিক্রম করে গিয়েছে। ২০২১-এর ৬ অক্টোবর থেকে গার্হস্থ সিলিন্ডারের দাম না বাড়লেও বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ১৭০ টাকা কাছাকাছি। ১ অক্টোবর দিল্লিতে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৭৩৬ টাকা। নভেম্বরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২০০০ এবং ডিসেম্বরে তা ২১০১ হয়। আবার ১ জানুয়ারি দাম কিছুটা কমে ১৯০৭ টাকা হয়েছিল।

নির্বাচনের পরেই গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন শেষ হচ্ছে ৭ মার্চ। এই নির্বাচনের কারণেই কার্যত সারা দেশে পেট্রোলিয়াম জাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়নি গত কয়েকমাস। যার জেরে সাধারণ মানুষও স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে গার্হস্থ সিলিন্ডারের দাম একধাক্কায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা।

প্রতিমাসেই নতুন মূল্য নির্ধারণ
সাধারণভাবে এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে প্রতিমাসের শুরুর দিনে, সেই মাসের জন্য মূল্য ঠিক করে দেওয়া হয়। তবে ৫ রাজ্যে নির্বাচনের কারণে গত কয়েকমাস গার্হস্থ্য সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি হয়নি। এখনও কলকাতায় ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম রয়েছে ৯২৬ টাকা। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকলেও তা মাত্র কয়েকদিনের। কেননা রেস্টুরেন্ট মালিক ও চা বিক্রেতাদের অস্বস্তি বেড়েছে এদিন থেকেই। সাধারণ মানুষ ইন্ডিয়ান অয়েলের ওয়েবসাইটে গিয়ে মূল্য দেখে নিতে পারেন।
https://cx.indianoil.in/webcenter/portal/Customer/pages_productprice