আরবিআই গর্ভনরের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ, বিস্ফোরক চিঠি পাঠাল সিআইসি
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে অর্থ মন্ত্রক- এর নিশানায় এখন আরবিআই। একদিকে আর্থিক নীতি-নির্ধারণকারী দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা, আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার- বিভিন্ন আর্থিক-নীতি-নির্ধারণ থেকে শুরু করে
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে অর্থ মন্ত্রক- এর নিশানায় এখন আরবিআই। একদিকে আর্থিক নীতি-নির্ধারণকারী দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা, আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার- বিভিন্ন আর্থিক-নীতি-নির্ধারণ থেকে শুরু করে ঋণ-খেলাপিদের একে একে পালায়ন নিয়ে দুপক্ষের জোর লড়াই বেঁধেছে। এমনই এক অবস্থায় আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় তথ্য কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের রায় সত্ত্বেও কেন ঋণ খেলাপি-দের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, সে সম্পর্কে শোকজ-এ বিস্তারিত জবাবদিহি চেয়েছে জাতীয় তথ্য কমিশন বা সিআইসি।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেল ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক-কে অবিলম্বে আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন-এর তৈরি করে যাওয়া খারাপ-ঋণের তালিকা প্রকাশ করতেও বলেছে জাতীয় তথ্য কমিশন।
ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে প্রাক্তন তথ্য কমিশনার শৈলেশ গান্ধীর অবস্থানকে সমর্থন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট এবং ঋণ খেলাপি-দের তালিকা প্রকাশকরতে নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু, এরপর রঘুরাম রাজন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে গেলে তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে সেই তালিকা সর্বসমক্ষে আনেননি উর্জিত প্য়াটেল।
৫০ কোটি টাকার বা তার থেকে বেশি অর্থ ঋণ নিয়েও যারা ঋণ মেটাননি তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ না করায় আরবিআই-এর উপরে বেজায় ক্ষিপ্ত জাতীয় তথ্য কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ থাকার সত্ত্বেও সেই তথ্য না প্রকাশ করে আরবিআই গভর্নর এক গর্হিত অপরাধ করেছেন বলেও শোকজন নোটিসে জানিয়েছে সিআইসি। সুতরাং কেন উর্জিত-এর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির সুপারিশ করা হবে না, তাও শোকজ নোটিসে জানতে চেয়েছে কমিশন।
আরটিআই নিয়ে আরবিআই-এর গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর যে কথা বলছেন তাতে পরিস্কার এই নিয়ে সংস্থার অন্দরে চূড়ান্ত অস্পষ্টতা রয়েছে। এমনকী আদালতের নির্দেশ থাকার সত্ত্বেও গভীর গোপনীয়তার সঙ্গে ভিজিল্য়ান্সের রিপোর্ট ও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ এনেছেন জাতীয় তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচারিউলু।
[আরও পড়ুন:বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই প্রস্তাব! প্রদেশ সভাপতির ফোন- 'কংগ্রেসে আসুন এবার']
জাতীয় তথ্য কমিশন মনে করছে যা ঘটেছে তাতে সিপিআইও-কে ধরার কোনও মানে হয় না। বরং পিআইও হিসাবে তালিকা না প্রকাশ হওয়ার জন্য আরবিআই গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকেই এর দায়ভার নিতে হবে বলে জানিয়েছে সিআইসি। শোকজের এক পূর্ণাঙ্গ উত্তর ১৬ নভেম্বরের মধ্যে সিআইসি-তে জমা করতে উর্জিত প্যাটলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
আরবিআই-এর আইনজীবী সন্তোষকুমার পানিগ্রাহী, ইতিমধ্যেই একবার জানিয়েছিলেন যে ঋণখেলাপিদের নিয়ে তালিকা প্রকাশে সবচেয়ে বড় বাধা একাধিক জনস্বার্থ মামলা। কিন্তু, সন্তোষকুমারের এই যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়েছে সিআইসি। সেই কারণে ঋণ-খেলাপিদের নামের তালিকা প্রকাশ না করার পক্ষে বিশাল কোনও যুক্তি দেখছে না এই কমিশন।
[আরও পড়ুুন: ২০১৯-এ মমতাকেও হারাবেন! পিসি-ভাইপো কোন কেন্দ্রে লড়ছেন জানতে চান দিলীপ]