ঘুরিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে উৎসাহ দিয়েছে ইউপিএ-এনডিএ সরকারই, বলছে সরকারি পরিসংখ্যানই
গত ১১ বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে, ইউপিএ সরকার হোক অথবা বর্তমানে এনডিএ সরকার, সকলেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে মজবুত করতে গিয়ে প্রচুর সরকারি অর্থ বরাদ্দ করেছেন ব্যাঙ্কগুলির জন্য।
প্রতিবছর বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীদের খরচ বরাদ্দ করার জন্য অর্থের জোগান কোথা থেকে হবে তা যেমন মাথায় রাখতে হয়, তেমনই পাশাপাশি কর আদায়ে যে ঘাটতি রয়েছে তা ঢাকার চেষ্টা করতে হয় যাতে সামাজিক প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে না পড়ে।
সেজন্যই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলিতে টাকার জোগান দিয়ে যেতে হয়। আর সেই সুযোগেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলিতে বাজে ঋণ ও জালিয়াতির ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে।
গত ১১ বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে, ইউপিএ সরকার হোক অথবা বর্তমানে এনডিএ সরকার, সকলেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক ব্যবস্থাকে মজবুত করতে গিয়ে প্রচুর সরকারি অর্থ বরাদ্দ করেছেন ব্যাঙ্কগুলির জন্য। আর সেই টাকা পিছনের দরজা দিয়ে লুট করা হয়েছে।
দেশের শেষ তিন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, পি চিদাম্বরম ও অরুণ জেটলি গত ১১ বছরে সরকারি পরিচালিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। যে টাকা ২জি কেলেঙ্কারিতে যে টাকা সরকারের ক্ষতি হয়েছে বলে ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে তার অনেক বেশি। এমনকী এবছরের বাজেটে গ্রামোন্নয়নের জন্য সরকারের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে তার চেয়েও এই টাকা দ্বিগুণ বেশি।
এবছরের শুরুর ত্রৈমাসিকে এসবিআই গত ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম লোকসানের মুখ দেখেছে। অন্য ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা আরও তথৈবচ। একদিকে শেয়ার বাজারের ধাক্কা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলির গায়ে দারুণ জোরে লেগেছে। তার উপরে এই ধরনের কেলেঙ্কারি ও বাজে ঋণের ফলে আগামিদিনে ব্যাঙ্কগুলির উপরে যে মারাত্মক চাপ আসতে পারে, তা অনেক বিশেষজ্ঞই আশঙ্কা করছেন।