সিগারেটের দোকানে বিক্রি করা যাবে না ক্যান্ডি, কোলা, জানুন কি বলছে সরকারি প্রস্তাব
সিগারেট বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি রাস্তার ধারে সিগারেটের দোকানে ক্যান্ডি ও কোলা বিক্রি করা যাবে না।
তামাকজাত দ্রব্য ও সিগারেট বিক্রি করতে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি রাস্তার ধারে সিগারেটের দোকানে ক্যান্ডি ও কোলা বিক্রি করা যাবে না। এমনই কড়া প্রস্তাব আনল কেন্দ্র সরকার। সারা দেশে তামাকজাত পণ্য বিক্রি ও কেনা বন্ধে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি পান-বিড়ির দোকানে সিগারেট, খৈনি ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে গেলে আগে স্থানীয় পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। এই ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সারা দেশে চালু করতে হবে।
এর মাধ্যমে এলাকার সমস্ত দোকানকে স্থানীয় পুরসভার মাধ্যমে রেজিস্টার করিয়ে নেওয়া যাবে। সরকারও প্রয়োজনে দোকানগুলি সম্পর্কে হিসাব রাখতে পারবে বলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শদাতা অরুণ ঝা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা। এছাড়া বিজ্ঞাপনের মাত্রাও যাতে কমিয়ে আনা যায় সেই বিষয়টি নিয়েও কড়া হয়েছে সরকার। যে দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে সেখানে ক্যান্ডি, টফি, লজেন্স, বিস্কুট, সফট ড্রিঙ্কস কিছু বিক্রি করা যাবে না।
প্রসঙ্গত ভারতের মতো দেশে প্রতিবছর ১ কোটির বেশি মানুষ ক্যানসার, ফুসফুসের সমস্যা ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এদের সিংহভাগ তামাকজাত পণ্য সেবন করেন। এই অবস্থা থেকে বাঁচতেই কেন্দ্র এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে।