২ মাসের মধ্যে বন্ধ হতে পারে দেশের অন্যতম নামী বিমান পরিষেবা সংস্থা! বাড়ছে আশঙ্কা
আশঙ্কার মেঘ দেশের প্রথম সারির নামী বিমান পরিষেবা সংস্থা জেট এয়ার ওয়েজের মাথায়। আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়ে এই সংস্থা এখন চরম বিপাকে।
আশঙ্কার মেঘ দেশের প্রথম সারির নামী বিমান পরিষেবা সংস্থা জেট এয়ার ওয়েজের মাথায়। আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়ে এই সংস্থা এখন চরম বিপাকে। এদিন কর্মীদের সঙ্গে মুখোমুখী বৈঠকে বসে সংস্থার চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েল পরিস্থিতির কথা জানিয়ে দেন। এমনই দাবি সূত্রের।
আর মাত্র ৬০ দিন!
আর মাত্র ৬০ দিন সংস্থা চালাবার মতো ক্ষমতা রয়েছে জেট এয়ারওয়েজের। এমনই কথা স্পষ্টভাবে কর্মীদের জানিয়ে দিলেন জেট এয়ার ওয়েজের কর্ণধার নরেশ গোয়েল। সূত্রের খবর, কোনও রকমের লভ্যাংশ পাচ্ছে না সংস্থা। তাই আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে পড়ছে।
বেতনে কাটছাঁট
গত ২ বছর ধরে জেট এয়ারওয়েজের পাইলটদের বেতনে ১৫ শতাংশ কাটছাঁট করা হয়েছে। যা মেনে নিতে চাননি অনেক পাইলটই। এদিকে, সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতিকে সচল রাখতে ঋণের কথাও ভেবেছে সংস্থা। তবে ব্যাঙ্কগুলি এখনও সংস্থার আয় -ব্যয়ের হিসাব দেখতে চাওয়া বিপাকে পড়ে গিয়েছে জেট কর্তৃপক্ষ।
কীভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে
সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সেলস্, ডিস্ট্রিবিউশন, পে রোল, মেনটেনেন্স-এর মত বিভাগে কোপ বসাতে চলেছে জেট ম্যানেজমেন্ট। এমনই দাবি সূত্রের। ফলে কোপ পড়ছে কর্মীদের বেতনেও।
আর্থিক দুরবস্থা কতটা ?
শুধু বেতনের কাটছাঁটই নয়, সঙ্গে রয়েছে কর্মী ছাঁটাইও। সংস্থার একটি সূত্র বলছে, বহু ইঞ্জিনিয়ারে ছাঁটাই করা হয়েছে। এছাড়াও জেট নিজের পাইলটদের কাছে আবেদন করে ৩০-৫০ শতাংশ বেতন গ্রহণ করতে। কম বেতন নিয়ে অস্বীকার করায় বহু পাইলটও রয়েছেন ছুটিতে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। এদিকে , আর্থিক মন্দায় কার্যত ডুবে রয়েছে জেট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই সংস্থার একটি অংশ যা ইথাড এয়ারওয়েজের আওতায় রয়েছে, তা ৮,১৫০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে পড়ে রয়েছে।