PPF Account: পিপিএফ-এ টাকা জমিয়ে দেড় কোটির বেশি পেতে পারেন, দেখে নিন হিসেব
বিনিয়োগের বিশ্বাসযোগ্য যে ফান্ডগুলি রয়েছে, তাদের মধ্যে পিপিএফ (ppf) অন্যতম। এখনও পর্যন্ত এই ফান্ডে বিনিয়োগ সরকারি হস্তক্ষেপ থাকায় তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এখনও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এর ওপরে এই ফান্ডে বিনিয়োগে কর সাশ্
বিনিয়োগের বিশ্বাসযোগ্য যে ফান্ডগুলি রয়েছে, তাদের মধ্যে পিপিএফ (ppf) অন্যতম। এখনও পর্যন্ত এই ফান্ডে বিনিয়োগ সরকারি হস্তক্ষেপ থাকায় তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এখনও কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এর ওপরে এই ফান্ডে বিনিয়োগে কর সাশ্রয় করা যায়। তবে অনেক সময় এর হিসেবটা পরিষ্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ এর সুবিধা নিয়ে ব্যর্থ হন।
কোথায় খোলা যায় অ্যাকাউন্ট
আগে দু-একটি ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খোলা গেলেও, এখন বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রয়ত্ত এবং বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এছাড়া পোস্ট অফিসেও পিপিফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এই অ্যাকাউন্ট একবার খুললে তা সাধারণভাবে ১৫ বছরের আগে টাকা তুলে নেওয়া কিংবা বন্ধ করা যায় না।
সুদের হার
বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প এবং সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে সুদের হার নিম্নগামী। কিন্তু গত দেড় বছর সময়ের মধ্যে পিপিএফ সুদের হার কমেনি। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এর সুদের হার নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে এর সুদের হার ৭.১ শতাংশ। এর আগে ২০২০-র মার্চে সর্বশেষ পিপিএফ-এ সুদের হার কমিয়েছিল সরকার। বাৎসরিক হিসেবে এই অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হয়। অর্থাৎ আর্থিক বছরের শেষ দিন কিংবা পরবর্তী আর্থিক বছর শুরু দিন অর্থাৎ এপ্রিলের ১ তারিখ অ্যাকাউন্টে এর হিসেব দেখতে পাওয়া যায়।
সুদের হিসেব
যদি কোনও গ্রাহকের পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৩১ মার্চের আগেই ১০ লক্ষ টাকা থেকে থাকে এবং এপ্রিলের ৫ তারিখের মধ্যে তিনি ওই অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দেন, তাহলে ৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মোটা টাকা ছিল ১০,৫০,০০০ টাকা। ৭.১ শতাংশ হারে মাসিক সুদের পরিমাণ (৭.১/১২x ১০৫০০০০)= ৬২১২ টাকা। যদি ওই গ্রাহক ৫০ হাজার টাকা ৫ এপ্রিল জমা করেন, তাহলে অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ধরা হয় ১০ লক্ষ টাকা। আর তার ওপরেই সুদ নির্ধারণ। অর্থাৎ ৭.১ শতাংশ হারে মাসিক সুদের পরিমাণ (৭.১/১২x ১০,০০,০০০)= ৫৯১৭ টাকা। অর্থাৎ কোনও গ্রাহক যদি নির্দিষ্টি কোনও মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে টাকা জমা দেন, তাহলে তিনি ওই মাসের সুদ পেয়ে থাকেন। কিন্তু যদি টাকা জমা করতে ৫ তারিখ পেরিয়ে যায়, তাহলে গ্রাহক ওই মাসের সুদ থেকে বঞ্চিত হন।
হিসেব সঠিক থাকলে জমতে পারে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত
কোনও বছরে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সব থেকে বেশি দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমানো যায়। যার পুরোটাই কর মুক্ত। বছরে দেড় লক্ষ টাকা হিসেবে প্রতিমাসে হয় ১২,৫০০ টাকার মতো। নির্দিষ্ট ১৫ বছর সময়ের পরেই ৫ বছর করে এর মেয়ার বাড়ানো যায়। যদি বছরে দেড় লক্ষ টাকা হারে ৩০ বছর টাকা জমানো যায়, তাহলে ৩০ বছরে এই অ্যাকাউন্টে জমা হতে পারে ১,৫৪, ৫০, ৯১১ টাকা। এই বিনিয়োগে গ্রাহকের টাকার অংশ হল ৪৫ লক্ষ টাকা। আর সুদের আয় প্রায় ১.০৯ কোটি টাকা।
যে কোনও বয়সেই বিনিযোগ শুরু
যে কোনও বয়সেই এই অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। তবে কেউ যদি কর্মক্ষম হওয়ার পরে ২৫ বছর বয়সে এই অ্যাকাউন্টে বিনিযোগ শুরু করেন, তাহলে ওপরের হিসেবে ৫৫ বছর বয়সে তিনি দেড় কোটি টাকা হাতে পেরে পারেন। বছরে এই অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকা জমা দিতেই হয়। এই অ্যাকাউন্টে সর্বনিম্ন বিনিয়োগও ৫০০ টাকা। তবে টাকা কীভাবে গ্রাহক এই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবেন, তা তার ওপরেই নির্ভর করছে।
ত্রিপুরায় নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান অভিষেকের সফরের আগে! ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় জল্পনা তুঙ্গে