নীরবের আগে কারা আর্থিক কেলেঙ্কারি করে চুপিসাড়ে দেশ ছেড়েছেন, দেখুন পুরো তালিকা
নীরব একা নন। এর আগে একাধিক মহারথী আর্থিক নয়ছয় করে দেশ ছেড়েছেন। দেখে নিন নীরব মোদীর সঙ্গে আর কারা রয়েছেন তালিকায়।
হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়ে পড়া নিয়ে এখন হইচই শুরু হয়েছে। মোট ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে। টাকা নয়ছয় করে কেউ কিছু জানার আগেই বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে তিনি প্রথম এবং একা নন। এর আগে একাধিক মহারথী আর্থিক নয়ছয় করে দেশ ছেড়েছেন। দেখে নিন নীরব মোদীর সঙ্গে আর কারা রয়েছেন তালিকায়।
বিজয় মাল্য
লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অনেকগুলি মামলা ভারতে ঝুলছে। ৯ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। ভারতের মোট ১৭টি ব্যাঙ্ক একযোগে বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এই মুহূর্তে ভারত থেকে পালিয়ে মালিয়া ইংল্যান্ডে রয়েছেন। গতবছরে একবার গ্রেফতার হলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে জড়ানো নীরব মোদী কি ভারতের নতুন বিজয় মালিয়া! জানুন কীর্তিমান সম্পর্কে]
ললিত মোদী
আইপিএলের স্রষ্টা ললিত মোদীর বিরুদ্ধে এই টুর্নামেন্টেই কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। ২০১০ সালে অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ললিত মোদী ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের নোটিশ জারি করা আছে। ফেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ভাঙায় মামলা হয়েছে।
দীপক তলওয়ার
কর্পোরেট কনসালট্যান্ট দীপক তলওয়ারের বিরুদ্ধে আয়কর পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এই পেশার সুবাদে কয়েকশো কোটি টাকা দীপক আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। ইউপিএ সরকার থাকার সময়ে অবৈধভাবে নানা সুবিধা কয়েকটি বিমান সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনা কেউ বোঝার আগেই দেশ ছাড়েন দীপক। তিনি রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে।
সঞ্জয় ভান্ডারি
কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায় অস্ত্র সরবরাহকারী সঞ্জয় ভান্ডারির নাম জড়ানোয় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর কর্তারা। সেখানে প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটা সংক্রান্ত গোপন নথি উদ্ধার হয়। দিল্লি আদালত সঞ্জয় ভান্ডারীকে 'অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট' অনুযায়ী দাগী বলে চিহ্নিত করেছে। সঞ্জয় নেপালে পালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
নীরব মোদী
পিএনবি থেকে লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সুইজারল্যান্ডে পালিয়ে রয়েছেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। তাঁর নামে মোট ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই ও ইডি ঘটনায় তদন্তে নেমেছে।